অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর থেকে কার্যত দিশাহীন অবস্থায় রয়েছে বঙ্গের কংগ্রেস। নিজেকে ‘অস্থায়ী সভাপতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেম অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেসের সংগঠনে প্রয়োজন মতো রদবদল করার জন্য দলের হাই কমান্ডের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘ভার’ তুলে দেওয়া হয়েছে নিয়মমাফিক প্রস্তাব পাশ করে। এর পরে বাংলার কংগ্রেস কোন পথে এগোবে, সে সব নিয়ে আলোচনার জন্য প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠাল এআইসিসি। সূত্রের খবর, আগামী ২৮ জুলাই রাজ্যের নেতাদের দিল্লি পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে। বৈঠক হবে সম্ভবত পরের দিন, ২৯ জুলাই।
সংসদের অধিবেশন চলাকালীনই এর আগে ৯ জুলাই প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে এআইসিসি-র আলোচনার দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এই সময়ে মণিপুর এবং রায়বরেলী সফরে চলে যাওয়ায় সেই বৈঠক স্থগিত হয়েছিল। এখন বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই ফের রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের মতামত নিতে ডাকা হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বে বড় অংশই চান না, রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর নরম করা হোক। তাঁদের যুক্তি, তৃণমূল-বিরোধী অবস্থান থেকে কংগ্রেস সেরে এলে এক দিকে যেমন বিজেপিকে ময়দান ছেড়ে দেওয়া হবে, তেমনই রাজ্যে অবশিষ্ট সংগঠনও ভেঙে পড়বে। তখন দলের একাংশ সরাসরি তৃণমূল করতে চাইবে, অন্য একাংশ বিজেপির দিকে পা বাড়াতে পারে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরও এর মধ্যে দিল্লিতে দলের নেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে জানিয়ে এসেছেন, বাংলায় কংগ্রেস কর্মীরা ‘বিভ্রান্ত’। কারণ, দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের নামে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের নৈকট্য চলছে। আবার বাংলায় বিরোধী দল কংগ্রেসের কর্মীরা শাসক তৃণমূলের ‘অত্যাচারে’র শিকার। দল ভাঙানোও চলছে। সূত্রের খবর, বাংলার এই সমস্যা নিয়ে তার পরে রাহুলের সঙ্গেও কথা হয়েছে সনিয়ার। প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বে অধীরকেই রেখে দেওয়া হবে, নাকি বদল হবে, সেই প্রশ্নেও নানা সমীকরণ ঘিরে দলে চর্চা চলছে।