প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে ফের ঘর ভাঙল কংগ্রেসে। এ বার যিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন, সেই কাজী আব্দুল রহিম (দিলু) শুধু উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার বিধায়কই নন। দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্যসম্পন্ন কংগ্রেস পরিবারের উত্তরসূরি। সম্প্রতি তাঁকে কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি পদ থেকে সরানো হতেই রহিমের ক্ষোভ বাড়ছিল। শেষ পর্যন্ত শনিবার তৃণমূল ভবনে গিয়ে তিনি শাসক দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিলেন।
রাজ্য বিজেপির মহিলা শাখার সহ-সভানেত্রী মৌমিতা বসু এবং সরোজ গজমের, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অবসরপ্রাপ্ত একাধিক পুলিশ-কর্তা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল ভবনে এ দিন যোগদান কর্মসূচিতে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ও।
বাদুড়িয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রহিমের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই যোগাযোগ রাখছিলেন তৃণমূল নেতারা। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আব্দুল গফ্ফরের ছেলে রহিমের জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভাবমূর্তি ভাল। তিনি যোগ দেওয়ার ফলে তৃণমূলের লাভ হবে বলে মনে করছেন দলের জেলা নেতৃত্ব।
আরও পডুন: কয়লা নিয়ে তদন্তে উদ্যোগী সিবিআই
লক্ষ্যণীয়, বাম ও কংগ্রেস থেকে সংখ্যালঘু বিধায়কদের ভোটের আগে তৃণমূল দলে টানছে। বসিরহাট উত্তরের সিপিএম বিধায়ক রফিকুল ইসলাম মণ্ডল কিছু দিন আগে ফিরে এসেছেন শাসক দলে। এ বার কংগ্রেসের রহিম। বিজেপির মোকাবিলায় শাসক শিবির এমন কৌশল নিয়েছে বলে রাজনৈতিক শিবিরের অভিমত।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, ‘বসিরহাটের গাঁধী’ গফ্ফর সাহেবের ছেলের এমন দলবদল ‘অনৈতিক’ হবে, এ কথাই রহিমকে কিছু দিন ধরে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল। একই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে অধীরবাবুর হুঁশিয়ারি, ‘‘সাপুড়েকে সাপের কামড়েই মরতে হয়! যে দল ভাঙানোর খেলা বাংলায় আপনি শুরু করেছিলেন, সে খেলাতেই এক দিন তৃণমূল পার্টি খতম হবে!’’ পাশাপাশি, মৌমিতাদের তৃণমূলে যোগদানকে গুরুত্বই না দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘যোগদান দেখতে হলে আমার সভায় আসতে হবে। সেখানে যোগদান মেলা হয়।’’ রাজ্যে দলীয় কর্মসূচি সেরে শুক্রবার বেশি রাতেই কলকাতা ছেড়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই রাজ্য বিজেপির মহিলা শাখার সহ-সভানেত্রী এ দিন দলে যোগ দেওয়ায় খুশি তৃণমূল।