আবার মোর্চার মিছিলে শিশুরা

এ দিন মোর্চার মিছিলে অনেক দিন পরে দেখা মিলল রোশন গিরির। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে দৌত্য করতে দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। তার পর সেখানেই থেকে যান। এ দিন চকবাজারে বক্তৃতায় বলেন, ‘‘যত দিন না দাবি আদায় হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’’

Advertisement

প্রতিভা গিরি

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৭ ০৩:৪৮
Share:

ফাইল চিত্র।

আবার গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মিছিল। আবার সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে শিশুরা।

Advertisement

সোমবার সকালে দার্জিলিং সদরে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এই মিছিলে শিশুদের নিয়ে জেলাশাসকের দফতরের সামনেও যায়। সেখানে তখন কয়েক জন কর্মী কাজ করছিলেন। শিশুদের হাত দিয়ে তাঁদের খাদা ও ফুল দেওয়া হয়। পরে মোর্চা নেতা কল্যাণ দেওয়া বলেন, ‘‘আপনারা যাঁরা বন্‌ধ সত্ত্বেও কাজ করছেন, তাঁদের কাছে আর্জি, পাহাড়ের ছোট শিশুদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সহযোগিতা করুন।’’

কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের সামিল করা তো বেআইনি। জবাবে কল্যাণ বলেন, ‘‘আসলে বাড়ির অভিভাবকরা রাস্তায় নেমেছেন। শিশুরা কী ঘরে একলা থাকবে!’’ রাজ্য শিশু অধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, তাঁরা এই নিয়ে আগে নোটিস পাঠিয়েছিলেন বিমল গুরুঙ্গকে। এ বারে হাজিরা দিতে সমন জারি করা হয়েছে। এর পরে ওয়ারেন্টও বেরোবে। তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কোনও শিশুর যদি কিছু হয়, গুরুঙ্গ তার দায়িত্ব নেবেন?’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও বলেন, ‘‘শিশুদের নিয়ে মোর্চার মিছিল করাকে আমরা সমর্থন করি না।’’ সঙ্গে জুড়েছেন, ‘‘আমরা সমতলে বসে যেটাকে রাজনৈতিক মিছিল বলছি, সেটা আসলে ওদের কাছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।’’

Advertisement

এ দিন মোর্চার মিছিলে অনেক দিন পরে দেখা মিলল রোশন গিরির। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে দৌত্য করতে দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। তার পর সেখানেই থেকে যান। এ দিন চকবাজারে বক্তৃতায় বলেন, ‘‘যত দিন না দাবি আদায় হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’’ দলীয় নেতৃত্ব শান্তির কথা বললেও গোলমাল চলছেই। রবিবার রাতেও রোহিণীর রাস্তায় আনাজের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাকদার রাস্তায় একটি গাড়ি পুড়েছে। তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মীর বাড়িতে হুমকির অভিযোগ রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে মোর্চার উপরে চাপ বাড়াচ্ছে হরকা বাহাদুরের দল জাপ। সূত্রের খবর, আগামী ৬ জুলাই মোর্চার সর্বদল বৈঠকে জাপ নেতারা জানিয়ে দেবেন, হিংসা বন্ধ না হলে তাঁরা আলাদা মঞ্চ গড়ার কথা ভাববেন। জিএনএলএফ, গোর্খা লিগ-সহ কয়েকটি দল সেই মঞ্চে যোগ দিতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement