ফাইল চিত্র।
২১ জুলাই সমাবেশের পরে কালীঘাটে নিজের বাসভবনে দলের জরুরি বৈঠক ডাকলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের ডাকা হয়েছে ওই বৈঠকে। এমনটাই জানানো হয়েছে তৃণমূলের পক্ষে।
অতিমারির কারণে দু’বছর বন্ধ ছিল। তার পর এ বছর ফের একুশে জুলাই সমাবেশ হতে চলেছে ধর্মতলায়। আর ওই দিনই বিকেল ৪টে নাগাদ দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মমতা। শনিবার সন্ধ্যায় এ কথা জানানো হয়েছে দলের পক্ষে। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশনে। এই বাদল অধিবেশনের জন্য দলের রণনীতি ঠিক করা ছাড়াও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের অবস্থান নিয়েও আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আসন্ন বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য একগুচ্ছ ‘অস্ত্র’ রয়েছে দলের হাতে। তার মধ্যে রয়েছে সেনায় নিয়োগের অগ্নিপথ প্রকল্প, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রির লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি ছাড়াও নয়া সংসদ ভবনের ছাদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্মোচিত অশোক স্তম্ভ নিয়ে বিতর্ক। এই সব অস্ত্রে শান দিয়ে সংসদের দুই কক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে চাপে ফেলার রণকৌশল স্থির হবে ওই বৈঠকে। এ সমস্ত বিষয়ে দলের সুর বেঁধে দেওয়ার কাজটি করবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। কোন বিষয়ে কী ভাবে কেন্দ্রকে আক্রমণ করা হবে, সেটা ঠিক করে দিতে ওই বৈঠক ডেকেছেন দলনেত্রী।
১৮ জুলাই থেকে বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। একই দিনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও। তাই ওই দিন সংসদে অধিবেশন বসবে না। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের সাংসদেরা ওই অধিবেশনে পুরোদমে যোগ দেবেন ২২ জুলাই অর্থাৎ শুক্রবার থেকে। কারণ, আগামী ২১ জুলাই ধর্মতলায় দলের সমাবেশ রয়েছে। রাজ্য জুড়ে সেই সমাবেশের প্রস্তুতি সভা চলছে এখন। জনসংযোগ কর্মসূচির আওতায় সেই সব সভাগুলিতে যেতে হচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের।