শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু শিক্ষা দফতরে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পরেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা কত, তা জানতে চাইল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে তারা।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে ওই নির্দেশিকাটি জারি করেছেন পর্ষদ সচিব সুব্রত ঘোষ। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রস্টার অব অথেনটিকেশন (রোপা) পোর্টালের অ্যানেক্সসার ‘এ’ ও ‘বি’-তে কোন স্কুলে কত সংখ্যায় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী রয়েছে, তা জানাতে হবে। মঙ্গলবার বিকাশ ভবনে স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার শুভ্র চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে রাজ্যের সব ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর (ডিআই)-দের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। তার পরেই এই নির্দেশিকাটি জারি করা হয়। আগামী ৮ অগস্টের মধ্যে যাবতীয় তথ্য পোর্টাল মারফত জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই পোর্টালটিতে কী ভাবে তথ্য আপলোড করতে হবে, তা চলতি বছর জানুয়ারি মাসেই ডিআই অথবা তাঁদের প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশিকাটি পাঠানো হয়েছে, স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার, দফতরের নির্দেশক ও ডিআইদের। মূলত ডিআইদের দিয়েই স্কুলগুলির কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
রাজ্য সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোমবার শিক্ষক নিয়োগের যে ঘোষণা করেছেন, তা রূপায়িত করার জন্য আগে কোন স্কুলে কত শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী রয়েছে, তা জানা জরুরি। তাই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাইব দ্রুতই রাজ্য সরকার শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে উদ্যোগী হোক।’’
সোমবার রাজ্যে নতুন ২১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথাও ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাই মঙ্গলবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই নির্দেশিকাকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে শিক্ষা দফতর।