Paresh Chandra Adhikary

Paresh Chandra Adhikary: গভীর রাতে অফিস খুলে প্রমাণ লোপাট? প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ

এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে। মেয়ের চাকরি গিয়েছে। নিজেও মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন। তবু অভিযোগ থেমে নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২২ ২০:১৬
Share:

এ বার পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে নিজের অফিস থেকে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ করল বিরোধীরা।

এসএসসি নিয়োগে ‘দুর্নীতি’ মামলায় নাম জড়িয়েছে। তাঁর মেয়ের চাকরি গিয়েছে। নিজে মন্ত্রিত্বও খুইয়েছেন। তবু অভিযোগ থেমে নেই। এ বার মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে নিজের অফিস থেকে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ করল বিরোধীরা। যদিও তা অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, আজকাল গভীর রাতেও খোলা থাকে মেখলিগঞ্জ মহকুমার খাদ্য দফতরের অফিস। এমনকি, শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকায় অফিস ঘেরাও করেন স্থানীয়েরা। এত রাতে অফিস ঘরে আলো দেখে তাঁরা ভেবেছিলেন, সেখানে চোর ঢুকেছে। কিন্তু এর পরে অফিস থেকে বেরোতে দেখেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের। এ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় সাধারণ মানুষের মনে। দফতরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়েরা। বন্ধ করে দেওয়া হয় অফিসের দরজা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ। এর পর খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা অফিস থেকে বেরিয়ে যান।

Advertisement

অন্য দিকে বিরোধীদের কটাক্ষ, কী এমন প্রয়োজন পড়ল যার জন্য গভীর রাতে অফিস খুলে বসতে হল আধিকারিকদের? বামফ্রন্ট জমানায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর পদ সামলেছেন পরেশ। বিজেপির অভিযোগ, অবৈধ ভাবে রেশন কার্ড তৈরি থেকে নানা দুর্নীতির ঘটনায় যুক্ত ছিলেন পরেশ। তৃণমূল জমানায় এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। এখন খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতির প্রমাণ সরিয়ে ফেলতে চাইছেন তিনি। ‌

বিজেপির মেখলিগঞ্জ শহরের মণ্ডল সভাপতি আক্কাস আলির কথায়, ‘‘সন্ধ্যা পাঁচটার মধ্যে রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতর বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শুধু মেখলিগঞ্জের খাদ্য দফতরই খোলা রয়েছে রাত পর্যন্ত। ওই অফিসে দিনের বেলায় আধিকারিকদের পাওয়া যায় না। তাঁরা রাত জেগে অফিসে কী করছেন?’’ এ নিয়ে পরেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার অনলাইন। অভিযোগ শুনে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য, ‘‘বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং নেটমাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, অনেক রাত পর্যন্ত অফিস (খাদ্য দফতর) খোলা ছিল। কিন্তু বিজেপি যে অভিযোগ করছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ, তারা জানেই না যে বিগত দিনের সমস্ত রেশন কার্ড ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। আর নিয়োগের কোনও কাগজপত্র সাব-ডিভিশন অফিসে থাকে না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ওরা যদি প্রমাণ করতে না পারে যে নথি লোপাট হচ্ছিল, তবে আগামী দিনে ওদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement