প্রতীকী ছবি।
সবং বিধানসভার উপনির্বাচনে এক লাফে ভোট বেড়েছে ১৫%। এ বার বিজেপি-র নজর উলুবেড়িয়া লোকসভা ও নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের আসন্ন উপনির্বাচনে।
তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ এবং কংগ্রেস বিধায়ক মধুসূদন ঘোষের প্রয়াণের ফলে ওই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা নতুন বছরের শুরুর দিকেই। রাজ্যে কংগ্রেসের হাল এখন শোচনীয়। সবংয়ে জামানত খোয়ানোর পরে তাদের মনোবলও তলানিতে। এমতাবস্থায় বিরোধী পরিসর দখলের জন্য বামেদের সঙ্গেই লড়াই গেরুয়া শিবিরের। আসন্ন দুই উপনির্বাচনেও তাদের লক্ষ্য যতটা সম্ভব ভোট বাড়ানো এবং দ্বিতীয় স্থানে আসা।
হাওড়ার ধূলাগড়ে ২০১৬ সালে শারদোৎসবের শেষ দিকে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়েছিল। ধর্মীয় মেরুকরণের ফায়দা তুলতে সে সময় সক্রিয় হয়েছিল বিজেপি এবং আরএসএস। গত এক বছর ধরে সংলগ্ন এলাকায় তাদের টানা প্রচারের মূল উদ্দেশ্যই ছিল, স্থানীয় মানুষকে ধূলাগড়-কাণ্ডের স্মৃতি ভুলতে না দেওয়া। সঙ্ঘ ও বিজেপি-র ওই প্রচারের জেরে উলুবেড়িয়া লোকসভা এলাকায় টানটান মেরুকরণের আবহ তৈরি হয়েছে বলে অন্য বিরোধীরাও টের পাচ্ছে। ওই পরিমণ্ডলেরই ফায়দা ভোটে তুলতে চাইছে বিজেপি।
মেরুকরণের ফায়দা নেওয়ার লক্ষ্যেই এক কট্টর হিন্দুত্ববাদী মুখকে উলুবেড়িয়ায় প্রার্থী করতে চাইছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। যদিও বিষয়টি আরএসএসের শীর্ষ মহলের অনুমোদন সাপেক্ষ। বিজেপি নেতারা অবশ্য বসে নেই। হিন্দু ভাবাবেগকে ভোটের বাক্সে কাজে লাগাতে স্থানীয় মন্দির কমিটিগুলির সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টায় খামতি রাখছেন না তাঁরা। বিজেপি সূত্রের খবর, উলুবেড়িয়ার একটি বিধানসভা বাদে বাকি সব ক’টিতেই তাদের বুথ স্তরের সংগঠন তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন তারা মন দিয়েছে, ভোটের দিন শাসক তৃণমূলের হামলা মোকাবিলা করার উপযুক্ত বুথরক্ষী বাহিনী গড়ায়। বিজেপি-র অন্দরের হিসেব, উলুবেড়িয়ায় উপনির্বাচনে তাদের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা কেউ ঠেকাতে পারবে না!
নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। মুকুল রায়ের বাড়ির এলাকা কাঁচরাপাড়া ওই শিল্পা়ঞ্চলের মধ্যেই। সদ্য সবংয়ে তৃণমূলের ঘরে পদ্ম ফোটাতে মুকুলের পুরনো যোগাযোগ কাজে এসেছে বলে বিজেপি সূত্রের দাবি। সেই সূত্রেই নোয়াপাড়ায় মুকুলের আর এক প্রস্ত পরীক্ষা হবে! তা ছা়ড়া, ওই এলাকায় হিন্দিভাষী এবং বিহার, উত্তরপ্রদেশের আদি বাসিন্দাদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের আশায় আছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘‘সবংয়ে আমাদের প্রায় অস্তিত্বই ছিল না। সেখানে ১৫% ভোট বেড়েছে। সর্বত্রই এখন সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে আমাদের দিকে ভোট আসবে।’’