প্রতীকী ছবি।
পেঁয়াজের দাম আগেই বেড়েছে। এ বার বাড়ল আলুর দাম। পাল্লা দিয়ে বে়ড়েছে শীতের আনাজের দামও।
মাস খানেক আগে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ১৫০ টাকা। পেঁয়াজের দাম এখন ৯০-১০০ টাকায় নেমে গেলেও বেড়েছে আলুর দাম। সপ্তাহ খানেক আগে জ্যোতি আলুর দাম যেখানে কেজিপ্রতি ২৭-২৮ টাকা ছিল শনিবার তা বিক্রি হয়েছে ৩০-৩২ টাকায়। চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৩০-৩২ টাকা থেকে বেড়ে ৩৩-৩৬ টাকা হয়েছে। আলুর দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। অনেকেরই প্রশ্ন, এ ভাবে দাম বাড়লে মানুষ খাবে কী? শনিবার শহর ও শহরতলির বিভিন্ন বাজারে শীতের আনাজের দামও গত দু’দিনের তুলনায় বেড়েছে। বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ফুলকপি ২০-২৫ টাকা (প্রতিটি), টোম্যাটো ৫০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, মটরশুঁটি ৫০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকা, বিনস ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দিন দু’য়েক আগে এই আনাজগুলির দাম গড়ে ১০-১৫ টাকা কম ছিল।
আনাজের দাম হঠাৎ করে বে়ড়ে যাওয়ার জন্য বৃষ্টিকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। শিয়ালদহ কোলে মার্কেটের ব্যবসায়ী তথা রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্য কমল দে বলেন, ‘‘গত দু’দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় শীতের আনাজ বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঢোকেনি। যার জন্য দাম হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে।’’ আলুর দাম বাড়ার প্রসঙ্গে
কমলবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বৃষ্টির জন্য মাঠে আলুর চাষ শুরু করা সম্ভব হয়নি। নভেম্বরের শুরুতে আলু লাগানো হয়েছে। ওই আলু উঠতে দেরি হওয়ায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে।’’ তবে দিন পনেরোর মধ্যে নতুন আলু বাজারে চলে আসবে বলে আশা জোগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার গড়িয়াহাট বাজারে আনাজ কিনতে এসেছিলেন পেশায় সরকারিকর্মী মনোজ দত্ত। মনোজবাবুর আক্ষেপ, ‘‘আগে একশো টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার করা যেত। এখন দুশো টাকাতেও ব্যাগ ভর্তি হচ্ছে না।’’