অপসারিত পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র। —নিজস্ব চিত্র।
অনাস্থা প্রস্তাব পাশের ১৫ দিন পরেও বোর্ড গঠন করতে পারল না তৃণমূল শিবির। সূত্রের খবর, পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধান কাকে করা হবে এ নিয়ে মতানৈক্যের জেরেই এখনও বোর্ড গঠনের দাবি জানাতে পারেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিকে পুরসভার এই অচলাবস্থা নিয়ে তৃণমূল শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অপসারিত পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র।
প্রশান্ত বলেন, ‘‘পুরসভা এখন পুলিশ ফাঁড়িতে পরিণত হয়েছে। এত পুলিশ দেখে সাধারণ মানুষ আর পুরসভামুখী হচ্ছেন না। আমার কাছে খবর আছে কাউন্সিলরদের এখনও পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে রাখা হয়েছে। সবাই এখন পুরপ্রধান হতে চাইছেন। তাই এখনও বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ওঁরা, পাছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয় এই ভয়ে। সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলে পুরসভাকে অচল করে রাখা হয়েছে।’’
গঙ্গারামপুর পুরসভার ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে প্রাক্তন তৃণমূল তথা অধুনা বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্রের লড়াই শুরু হয়। বিপ্লবের ভাই প্রশান্ত এই পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের পরে বিপ্লব বিজেপিতে যেতেই তৃণমূল নেতৃত্ব প্রশান্তকে দল থেকে বহিষ্কার করে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে।
আরও পড়ুন: গুরুং মামলায় পরশু ফের শুনানি
পুলিশ পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিবার
সেই অনাস্থা নিয়ে বিস্তর দড়ি টানাটানি শুরু হয়। বল গড়ায় হাইকোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৫ অগস্ট অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করিয়ে প্রশান্তকে পুরপ্রধানের পদ থেকে অপসারিত করে তৃণমূল শিবির। কিন্তু তার পরে দুই সপ্তাহ পার হলেও আজও বোর্ড তো দূরের কথা, প্রশান্তকে অপসারণের চিঠি পর্যন্ত ধরাতে পারেনি তৃণমূল নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, পুরসভার ১৮ জনের মধ্যে তৃণমূলের পক্ষে রয়েছে ১০ জন কাউন্সিলর। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন পুরপ্রধানের দৌড়ে রয়েছে। তৃণমূল সূত্রেই খবর, অমল সরকার, রাকেশ কুণ্ডুর মতো কাউন্সিলর এই দৌড়ে থাকায় কাকে ছেড়ে কাকে পুরপ্রধান করা হবে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল শিবির। অমল সরকার অবশ্য বলেন, "পুর আইন অনুযায়ী কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলেই বোর্ড গঠন করা হবে। কোনও দ্বন্দ্ব নেই।’’