mukul roy

BJP: মুকুল-পথে অন্য চারের জন্যও ভাবনা বিজেপির

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইঙ্গিত দিয়েছেন, অন্য চার বিধায়কের ক্ষেত্রেও তাঁরা আদালতের উপরেই বেশি ভরসা রাখতে চাইছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:০৮
Share:

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

মুকুল রায়ের পরে দলত্যাগী আরও চার জনের বিধায়ক-পদ খারিজের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুলের দলত্যাগ সংক্রান্ত বিষয়ের শুনানি বিধানসভায় শেষ হওয়ার পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইঙ্গিত দিয়েছেন, অন্য চার বিধায়কের ক্ষেত্রেও তাঁরা আদালতের উপরেই বেশি ভরসা রাখতে চাইছেন। ওই চার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, তন্ময় ঘোষ, সৌমেন রায় ও কৃষ্ণ কল্যাণীর পদ খারিজের আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বিধানসভায় মুকুলের দলত্যাগ সংক্রান্ত বিষয়ের আনুষ্ঠানিক শুনানি শেষ হয়েছিল আগেই। বিজেপির পরিষদীয় দলের তরফে আইনজীবীরা তাঁদের চূড়ান্ত বক্তব্য জানাতে চাওয়ায় স্পিকার শুক্রবার তাঁদের সময় দিয়েছিলেন। শুনানির পরে মুকুলের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, বিজেপির অভিযোগের কোনও গ্রহণযোগ্য প্রমাণ নেই। মুকুল বিজেপিতেই আছেন। বিজেপির আইনজীবী-বিধায়ক অম্বিকা রায় ও অন্য আইনজীবীদের পাল্টা দাবি, তাঁদের হাতে মুকুলের তৃণমূলে যোগদানের পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে।

পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘মুকুল রায় বিজেপিতেই থাকলে বিজেপির পরিষদীয় দল নিশ্চয়ই তাঁর বিধায়ক-পদ খারিজের জন্য আবেদন করত না! ঢাক-ঢোল পিটিয়ে উনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। আমরা আবার বলছি, বিধানসভার এই প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা উৎসাহিত নই, আশাবাদীও নই। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে সংবিধানের দশম তফসিলের মর্যাদা রক্ষিত হবে বলে আমরা আশা করছি।’’ এই সূত্রেই তিনি জানিয়েছেন, ‘মুকুল রায়কে অনুসরণ’ করে যে চার জন বিধায়ক তৃণমূলে গিয়েছেন, তাঁদের পদ খারিজ সংক্রান্ত আবেদনেরও তিন মাস অতিক্রান্ত হচ্ছে। তাঁদের ক্ষেত্রেও আদালতে ‘বিচার’ চাওয়া হবে।

Advertisement

স্পিকার বিমানবাবু অবশ্য বলেছেন, ‘‘কে কী করবেন, জানি না। বিধানসভায় দীর্ঘ শুনানি প্রক্রিয়া (মুকুল সংক্রান্ত) শেষ হয়েছে। এর পরে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘‘স্পিকারের ঘরে থাকলে মুকুল রায় বিজেপির। ঘরের বাইরে গেলে উনি তৃণমূলের! যখন মুকুলবাবুকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান করা হয়েছে, তখন ওঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ-বিরোধী আইন প্রয়োগের আবেদন জমা পড়ে গিয়েছিল। এতে সাংবিধানিক রীতি অমান্য করা হয়েছে, স্পিকারের মর্যাদাও ক্ষুণ্ণ হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement