ছবি সংগৃহীত।
বারো বছর আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন যুবতী। নানা জায়গায় খুঁজেও না মেলায়, কার্যত হাল ছেড়ে দেয় পরিবার। হ্যাম রেডিয়ো ক্লাবের সৌজন্যে হঠাৎই খোঁজ মিলল সেই মেয়ের। বারাণসী থেকে তাঁকে পুরুলিয়ার বাড়িতে ফেরানোর উদ্যোগ হচ্ছে, জানান হ্যাম রেডিয়োর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিয়ো ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস।
কলকাতার আইনজীবী অণিমা চক্রবর্তী সম্প্রতি বারাণসী যান। তিনি জানান, এক পরিচিতের সূত্রে সেখানকার পাণ্ডেপুর মানসিক হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানেই বছর সাঁইত্রিশের ওই মহিলাকে দেখেন। হিন্দি-বাংলা মিশিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। অণিমা বলেন, ‘‘ওঁর কাছে যেটুকু তথ্য পেয়েছিলাম, অম্বরীশবাবুকে জানাই। ছবিও পাঠাই।’’ অম্বরীশবাবু জানান, মহিলার কথায় সূত্র বলতে ছিল শুধু পুরুলিয়া শব্দটুকু। তাঁর কথায়, ‘‘পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক কৃষ্ণপ্রসাদ সর্দারের শরণাপন্ন হই।’’ কৃষ্ণপ্রসাদবাবু জানান, তিনি পরিচিত এক পুলিশ আধিকারিকের সাহায্য নেন। সেই সূত্র ধরেই জানা যায়, মহিলার বাড়ি নিতুড়িয়ার রায়বাঁধ পঞ্চায়েতের দেসাহা গ্রামে। অম্বরীশবাবু বলেন, ‘‘ওই গ্রামের এক জনের ফোন নম্বর জোগাড় করে ভিডিয়ো কলে মহিলার সঙ্গে তাঁর মা-দাদার কথা বলানো হয়। দু’পক্ষই পরস্পরকে চিনতে পারেন।’’
পাণ্ডেপুর মানসিক হাসপাতালের কর্মী পূজা দুবে সোমবার ফোনে জানান, বছর দশেক আগে বারাণসীতে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর সময়ে মহিলাকে উদ্ধার করে এখানে পৌঁছে দেয় পুলিশ। তখন তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এখন অনেকটাই সুস্থ। মহিলার দাবি, কে বা কারা তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তার বেশি কিছু মনে নেই।
দিনমজুরি করে সংসার চলে পরিবারটির। মহিলার দাদা বলেন, ‘‘বোনকে ফেরত পাব, ভাবতে পারিনি! কিন্তু বারাণসী গিয়ে ওকে আনার আর্থিক সঙ্গতি নেই।’’ কৃষ্ণপ্রসাদবাবু বলেন, ‘‘মেয়েটির দাদা-সহ দু’জনকে বারাণসী পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। ওই হাসপাতাল ফেরার বন্দোবস্তের আশ্বাস দিয়েছে।’’