আদালত চত্বরে। নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে রায়না থানায় মামলা দায়ের হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। বছর খানেক আগের সেই মামলায় বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে আত্মসমর্পণ করেন দিলীপবাবু। দু’হাজার টাকার বন্ডে জামিন পান তিনি।
বিজেপি নেতার পক্ষের অন্যতম আইনজীবী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘৩১ ডিসেম্বর ফের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দিলীপবাবু এক জন সাংসদ। এ রাজ্যে জনপ্রতিনিধিদের জন্য বারাসাতে বিশেষ আদালত হয়েছে। সেখানেই মামলাটি পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে।’’
আদালত থেকে বেরিয়ে এ দিন দিলীপবাবু দাবি করেন, ‘‘আগে যা বলেছিলাম, যেটার জন্য পুলিশ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে, এখনকার পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ। শিক্ষার দিকেও তাকিয়ে দেখুন। সব জায়গাতেই অবস্থা খারাপ।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর রায়নার সেহেরাবাজার সি কে ইনস্টিটিউটের মাঠে বিজেপির সভা ছিল। অভিযোগ, সেখানেই উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন দিলীপবাবু। পরে রায়না থানারই এক পুলিশকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়। এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দেয় পুলিশ। কয়েকদিন আগে ‘পলাতক’ দেখানো দিলীপবাবুকে গ্রেফতারের জন্য আদালতের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করা হয়। বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দেশ দেন।
এ দিন বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণের প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ, ‘‘এই সরকার যবে থেকে এসেছে, তখন থেকে জেলায় জেলায় বোমা-বিস্ফোরণ ঘটছে। বোমা পাওয়া যাচ্ছে। বাইরে থেকে বিস্ফোরক আসছে, উগ্রপন্থী আসছে। মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গা থেকে জঙ্গি পাওয়া গিয়েছে। আল-কায়দার সঙ্গে তাঁদের যোগ মিলেছে। মালদহেও বিস্ফোরণ ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ, মালদা, বর্ধমান, বীরভূম—কোন জেলায় বিস্ফোরণ হয়নি। এ সরকার শুধু বিরোধীদের আটকাতে ব্যস্ত। তার ফাঁক গলে দেশদ্রোহীরা ঢুকে পড়েছে। ভোট ব্যাঙ্কের জন্য পুলিশ কিছু বলছে না।’’ কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের পুলিশ ও সিআইডি চায় না সত্য সামনে আসুক। এনআইএ, সিবিআই, ইডি তদন্ত শুরু করেছে। মাথাদের ধরতে শুরু করেছে।আমরা মনে করি, কেন্দ্রীয় এজেন্সি ছাড়া সত্য সামনে আসবে না।’’
যদিও রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের দাবি, ‘‘উনি (দিলীপবাবু) উন্নয়ন দেখতে চাইছেন না। তার বদলে মিথ্যা কথা বলে, অপপ্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।’’