তখনও বালির বস্তা ফেলে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুর ব্যারাজের ক্ষতিগ্রস্ত লকগেট সারাইয়ের কাজ অবশেষে শুরু হল। বুধবার রাতের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী সেচ দফতর। সবকিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার থেকেই এলাকার মানুষ পানীয় জল পাবেন বলে আশা করছেন তাঁরা। সারাইয়ের কাজ চলাকালীন ব্রিজের উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই নিয়ে স্থানীয় পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সেচ দপ্তরের সচিব গৌতম চট্টোপাধ্যায়।
গত শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ দুর্গাপুর ব্যারাজের ৩১ নম্বর লকগেট বেঁকে আচমকাই জল বেরোতে শুরু করে। ক্ষতিগ্রস্ত লকগেটের কাছে পৌঁছে মেরামতির কাজ শুরু করতে প্রথমে আরও পাঁচটি গেট খুলে জল বার করে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত লকগেটের কাছে পৌঁছতে বালির বস্তা ফেলে বাঁধ তৈরির চেষ্টা চলে।
সোমবার সকালের মধ্যে বাঁধ তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেলে মেরামতির কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছিলেন সেচ দফতরের কর্তারা। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বরং স্থানীয় এলাকায় জলের সঙ্কট দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: বিকাশ দুবে করে ছেড়ে দেব, তৃণমূল বিধায়ককে এনকাউন্টারের হুমকি সায়ন্তনের
আরও পড়ুন: বহু দিন পর শুভেন্দুর মুখে ‘নেত্রী’, বার্তা কি কালীঘাটকে
তার পরে এ দিন ফের নয়া উদ্যোগে কাজ শুরু করে সেচ দফতর। শেষ মেশ রাত ৮টা নাগাদ বাঁধ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়। এই বাঁধ তৈরির কাজটিই সবচেয়ে কঠিন ছিল বলে জানিয়েছেন গৌতম চট্টোপাধ্যায়। লকগেট মেরামত হয়ে গেলে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না, দেখে নেবেন ইঞ্জিনিয়াররা। তার পরই ডিভিসিকে জল ছাড়তে বলা হবে।