—ফাইল চিত্র
বামেদের সঙ্গে আলোচনার জন্য এআইসিসি যে কমিটি গঠন করেছে, সেই সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর কিছু জানা নেই বলে দাবি করেছিলেন তিনি। দলের ভিতরে চাপের মুখে পড়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সুর বদল করলেন ওই কমিটির অন্যতম সদস্য ও কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো। এ বার তাঁর দাবি, এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ আছে! কেন তিনি আগের দিন অন্য কথা বলেছিলেন এবং পরে ভোল বদল হল, তার কোনও ব্যাখ্যা অবশ্য রবিবার রাত পর্যন্ত নেপালবাবুর দিক থেকে পাওয়া যায়নি।
নেপালবাবুর আগের মন্তব্যে বিস্মিত দুই নেতা আব্দুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, বাম নেতৃত্বের সঙ্গে গত সপ্তাহে বৈঠকে যাওয়ার আগে তাঁদের সঙ্গে বাঘমুণ্ডির বিধায়কের কথা হয়েছিল। এমনকি, পুরুলিয়ায় তাঁরা কত আসনে লড়তে চান, তার তালিকাও বিরোধী দলনেতা মান্নানকে পাঠিয়েছিলেন নেপালবাবু। তার পরেও সামাজিক মাধ্যমে তাঁর মন্তব্যের কথা জেনে বিস্মিত হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই যে মান্নান ও প্রদীপবাবু বামেদের সঙ্গে আলোচনায় গিয়েছিলেন, তা-ও বলেছেন প্রদেশ সভাপতি। পাশাপাশি, বাংলায় এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ জানিয়ে দিয়েছেন, কমিটি গঠন এবং সেই কমিটিতে কারা সদস্য হচ্ছেন, সেই কথা তিনিও সংশ্লিষ্ট নেতাদের জানিয়েছিলেন। এ সবের পরেই সুর বদলে এ দিন নেপালবাবু ফের টুইট করে বলেছেন, ‘‘জোট সংক্রান্ত যে কমিটি এআইসিসি গঠন করেছে, আমি সেই সম্পর্কে কিছু জানি না, সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই সম্পর্কে সভাপতি মাননীয় অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে আমার প্রতিনিয়ত যোগাযোগ আছে।’’
গোটা ঘটনায় কংগ্রেসের এক বর্ষীয়ান নেতার মন্তব্য, ‘‘অহেতুক জলঘোলা করে কার লাভ হচ্ছে, কে জানে! এই ভাবে চললে বামেদের সঙ্গে আলোচনাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলাই মুশকিল হয়ে যাবে!’’