রিক্তা কুণ্ডু। —নিজস্ব চিত্র।
প্রশ্ন: গত পাঁচ বছরে জেলা পরিষদের অধীনে থাকা রাস্তাগুলির কতটা করা গিয়েছে? অনেক রাস্তাই তো এখনও বেহাল।
উত্তর: অধিকাংশ রাস্তাই ভাল রয়েছে। যেগুলি খারাপ, সেগুলিরও সংস্কার নির্দিষ্ট ব্যবধানে করা হয়। রাস্তা নিয়ে খুব একটা সমস্যা নেই।
প্রশ্ন: কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বাহাদুরপুরে ট্রাক টার্মিনাস তৈরি করা হয়। আজও চালু হল না কেন?
উত্তর: একটা পরিকল্পনা করা হলে তা বাস্তবায়িত হতে কিছু সময় তো লাগেই।
প্রশ্ন: সব জায়গায় এখনও বাড়ি বাড়ি পানীয় জল যায়নি। তার বিকল্প হিসেবে জেলা পরিষদ কী করেছে?
উত্তর: জলাধার তৈরির জন্য অনেক জায়গায় সরকারি জমি নেই, কিনতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও ৬০ শতাংশ কাজ হয়েছে। দরকার মতো সজলধারারও ব্যবস্থা হয়েছে।
প্রশ্ন: সিপিএম জমানায় রানাঘাট-২ ব্লকে ফুল সংরক্ষণের জন্য তৈরি হিমঘর তৃণমূল আসা ইস্তক তালাবন্ধ। করিমপুরে পানের হিমঘর ও বরফ কল তৈরি হয়ে পড়ে আছে।
উত্তর: দশ বছরে সব কাজই করে ফেলা যাবে, এমনটা নয়। ফুলচাষিরা চাইলেই হিমঘর চালু রাখা সম্ভব। পান সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা এখন নেই।
প্রশ্ন: ঘূর্ণীর মৃৎশিল্প জগদ্বিখ্যাত। অথচ বিপণনের জন্য তৈরি ‘মৃত্তিকা’ ভবন আজ অনুষ্ঠান বাড়িতে পরিণত।
উত্তর: মৃৎশিল্পীরা মনে করেন, ওখানে পসরা সাজিয়ে বসার মতো যথেষ্ট জায়গা নেই। তাই অনুষ্ঠান বাড়ি হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়।
প্রশ্ন: ফুলিয়ার বাসিন্দা ফেলানি বসাককে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকরণ অভিযান করেছিলেন। অথচ এখন তিনি জেলায় এলেও কোনও অনুষ্ঠানে ফেলানিকে আনা হয় না, সরকারি প্রকল্প থেকেও তিনি বঞ্চিত বলে অভিযোগ।
উত্তর: সরকারি সমস্ত সুবিধা উনি পাচ্ছেন। আমি নিজে প্রতিনিয়ত ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। কিছু দিন আগেও তাঁর চিকিৎসা করিয়েছি।
প্রশ্ন: তৃণমূলের কিছু জনপ্রতিনিধি আবাস যোজনায় ঘর পাওয়ার যোগ্য না হয়েও তা পেয়েছেন।
উত্তর: তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বহু ক্ষেত্রে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ।
উত্তর: নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশ্ন: দুর্নীতির অভিযোগে জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন পর্যবেক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য জেলে। এ সবের প্রভাব পড়বে না?
উত্তর: পার্থবাবু যদি দুর্নীতিতে যুক্ত হয়ে থাকেন, যদিও তা প্রমাণিত নয়, দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
সাক্ষাৎকার: সুস্মিত হালদার ও সুদেব দাস