৮ অগস্টের বৈঠকে আন্দোলনকারীদের তরফে আলোচনায় যোগ দেওয়া শহীদুল্লাহ এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকের পর ১০ দিন কেটে গেলেও কোনও প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়িত হয়নি। তাই নিজেদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এখনই ইতি টানতে চাইছেন না ২০১৬ সালের এসএসসি মেধাতালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। গত ৮ অগস্ট শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষকতার জন্য মেধাতালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের তরফে প্রতিনিধি শহীদুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘আলোচনা সদর্থক’। কিন্তু প্রতিশ্রুতির কোনও বাস্তবায়নই হয়নি বলে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি। তাই মেয়ো রোডে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে তাঁদের ধর্না অবস্থান বুধবার ৫২১ দিনে পৌঁছলেও, এই আন্দোলন তাঁরা চালিয়ে যেতে চান বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ করার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে। সঠিক সময় হলে এসএসসি-র তরফে এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার মেয়ো রোডে অবস্থানস্থলে গেলে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা তাঁদের দ্রুত নিয়োগ করার দাবি সংবলিত পোস্টার নিয়ে বসে আছেন। চাকরিপ্রার্থী তনয়া বিশ্বাস বলেন, “গত ২৯ জুলাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের নিয়োগের বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও সদর্থক বার্তা পাওয়া গেল না।”
প্রসঙ্গত, ৮ অগস্টের বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, ‘‘আমরা দাবি শুনেছি। আইন মোতাবেক বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আরও পদ তৈরি করতে হবে। সেটা শুধু আমাদের হাতে নয়। অর্থ দফতর এবং মুখ্যমন্ত্রীরও মত নিতে হবে। সব দফতরের মধ্যে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কত পদ তৈরি করতে হবে, তা দেখার জন্য এসএসসিকে বলেছি। সেটা জানার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ ২১৭৯টি শূন্যপদের বাইরেও যে আরও পদ তৈরি করা হচ্ছে, বৈঠক-শেষে আন্দোলনকারীদের তরফে তা জানিয়েছিলেন শহীদুল্লাহও।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের আশা ওই বৈঠকেই তাঁদের বিষয়ে ইতিবাচক কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অবশ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বুধবারই জানিয়েছেন, তাঁদের এই বিষয়ে এখনই কিছু করার নেই। সবটাই মন্ত্রিসভার বৈঠক এবং হাই কোর্টের নির্দেশের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আন্দোলনকারীরা অবশ্য এখনই হাল ছাড়তে চাইছেন না।