মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা-গাফিলতি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের আবহে রাজ্য পুলিশের একাধিক শীর্ষপদে রদবদল। ডিরেক্টর অব সিকিউরিটি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিবেক সহায়কে। নতুন ডিরেক্টর অব সিকিউরিটি হলেন পীযূষ পাণ্ডে। আর অতিরিক্ত ডিরেক্টর অব সিকিউরিটি করা হল ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে। এ ছাড়া কলকাতা পুলিশের কয়েকটি পদেও বদল আনা হল।
বুধবার রাজ্য পুলিশের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ডিরেক্টর অব সিকিউরিটি পদে বিবেককে সরিয়ে পীযূষকে বসানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে। মনোজকে অতিরিক্ত ডিরেক্টর অব সিকিউরিটি পদে এনে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার পদে বসানো হয়েছে অজয় ঠাকুরকে। অন্য দিকে, বদলি করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এসবি) রাজেশ যাদব এবং যুগ্ম কমিশনার সি সুধাকরকে।
নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি চত্বরে ঢুকে পড়েছিলেন এক আগন্তুক। তাঁর হাতে ছিল লোহার রড। সারা রাত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দক্ষিণ দিকে কনফারেন্স হলের পিছনে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। এর পর সকালে ওই ব্যক্তিকে তুলে দেওয়া হয় কালীঘাট থানার হাতে। পুলিশের তদন্তে উঠেছে, আগন্তুকের নাম হাফিজুল মোল্লা। হাসনাবাদের বাসিন্দা। জেড প্লাস নিরাপত্তা টপকে লোহার রড নিয়ে হাফিজুল যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়েছেন, তাতে নিরাপত্তায় গাফিলতির বিষয়টিই প্রকট হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করেছে লালবাজার। নেতৃত্বে রয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান।
সূত্রের খবর, নিরাপত্তায় গাফিলতি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আর তার পরেই ডিরেক্টর অব সিকিউরিটি পদ থেকে সরানো হল বিবেককে।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামে গিয়ে আহত হয়েছিলেন মমতা। তখন কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ডিরেক্টর অব সিকিউরিটির পদ থেকে বিবেককে সরিয়ে দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর পর মে মাসে মমতা তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর হিসাবে শপথ নেওয়ার পর আবার বিবেককে ওই পদে ফিরিয়ে আনা হয়।