ফাইল চিত্র
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কিছুদিনের মধ্যেই সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। অথচ দাড়িভিট-কাণ্ডের দু’বছর পরও কিছু হল না— প্রশ্ন তুললেন ওই ঘটনায় নিহত তাপসের মা। দাড়িভিট-কাণ্ডের দু’বছর পূর্ণ হল রবিবার। এ দিন তাপসের মা মঞ্জু বর্মণ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাতজোড় করে আবেদন করেছেন, যাতে তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘দু’বছরেও এই ছেলেদের পরিবার বিচার পায়নি। আমরা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি। আমার মনে হয়, এর সুবিচার তখনই হবে, যখন পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পরিবর্তন হবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। তার জন্য আমরা লড়াই করছি। আমরা রাজেশ, তাপসের পরিবার এবং গ্রামের মানুষের পাশে আছি।’’ দিলীপের আরও অভিযোগ, ‘‘রাজেশ-তাপসের মৃত্যুতেই পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র-হত্যা থেমে নেই। চোপড়া, ইটাহার, হেমতাবাদ থেকে গোটা রাজ্য—সর্বত্রই তৃণমূল সরকারের ‘অন্যায়ে’র বিরুদ্ধে মুখ খুলে আক্রমণের মুখে পড়ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।’’
এ দিন সকাল থেকেই প্রস্তুতি ছিল এবিভিপি ও বিজেপির বিভিন্ন কর্মসূচি। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ দাড়িভিটে পৌঁছান বিজেপির তফসিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতি দুলাল বর। তাঁকে সঙ্গে নিয়েই শ্মশানে যান বিজেপির কর্মীরা। ছিলেন তাপস রাজেশের মা-বাবা ও পরিজনেরা। দুলাল বলেন, ‘‘যত দিন পর্যন্ত রাজেশ, তাপসের মৃত্যুর তদন্ত না হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। ২০২১ সালে এ রাজ্যে আমরা এলে এবং সুযোগ দিলে ঘটনার সিবিআই তদন্ত হবেই।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ২০১১ সালের আগে কথায় কথায় সিবিআই তদন্ত চাইতেন। তা হলে এই ঘটনার তদন্তে ওঁর ভয় কেন! কারণ, এর তদন্ত হলে ওঁর পুলিশ, প্রশাসন জড়িয়ে যাবে।’’ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম শ্রীনিবাসও। সেখানেই দিলীপ ঘোষের ভার্চুয়াল বক্তব্য শোনানো হয়।তাপসের মা মঞ্জু বর্মণ বলেন, ‘‘প্রতিশ্রুতি মিলেছে ২০২১ সালে ক্ষমতায় এলে সিবিআই তদন্ত হবে। এখন সেদিকে তাকিয়ে বসে রয়েছি।’’