কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি পিটিআই।
হিসেব-মতো ভোটের বাকি পাঁচ মাস। এখনও রাজ্য়ের সব বুথে কমিটি নেই বিজেপির। দু’দিনের রাজ্য সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ নিয়ে চাপ দেওয়ার পরে তৎপর হয়ে উঠল বিজেপি। রাজ্য় নেতাদের শাহ বলে গিয়েছেন, বুথে সংগঠন শক্তিশালী না হলে ক্ষমতায় এলেও তা ধরে রাখা যাবে না। পাশাপাশি, দলীয় সাংসদদের প্রতি তাঁর নির্দেশ— নভেম্বরের শেষের মধ্যে সব ব্লক এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সব পঞ্চায়েতে জনসংযোগ করতে হবে।
শাহ দিল্লি ফিরে যাওয়ার পর দিন শনিবারই তাঁর দেওয়া সময়সীমার মধ্যে রাজ্যের সব বুথে কমিটি গড়তে উদ্য়োগী হয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘লক ডাউনে ৬৩ হাজার বুথে আমরা অমিতজির ভার্চুয়াল সভা শুনিয়েছি। কিন্তু রাজ্য়ের সব বুথে, বিশেষত সংখ্যালঘু অধ্যুষিতবুথে আমাদের সংগঠন দুর্বল। সেগুলো আমরা মেরামত করে ফেলব।’’
শাহের নির্দেশ কার্যকর করতে এ দিনই দলের সব মোর্চাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন দিলীপবাবুরা। ঠিক হয়েছে, যুব মোর্চা বুথ পিছু ১১ জন যুব সদস্য সংগ্রহ করবে এবং ২০২১-এ যাঁরা নতুন ভোটার হবেন, সেই তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সংগঠন গড়ে তুলবে। ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন থেকে ২৩ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন পর্যন্ত টানা কর্মসূচিও নেবে যুব মোর্চা। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজ্যে আসার আহ্বান জানানো হবে।
আরও পডুন: কয়লা নিয়ে তদন্তে উদ্যোগী সিবিআই
আরও পডুন: ফের সংখ্যালঘু বিধায়ক তৃণমূলে
লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম দেড় বছর আগে বিজেপি-তে যোগ দিয়েও দলের একাংশের ‘বিদ্রোহে’র জেরে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। এ দিন তাঁকে আবার রাজ্য় বিজেপির কার্যালয়ে দেখা যায়। দিলীপবাবু বলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, মনিরুল-সহ যাঁরা দলে যোগ দিয়েছিলেন, সকলকেই ভোটে কাজে লাগানো হবে। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ হারিয়ে রাহুল সিংহ ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁকেও গত দু’দিন শাহের পাশে দেখা গিয়েছে।