আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমেই স্নাতকে ভর্তি হওয়ার আবেদন করতে পারবেন উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণরা। প্রতীকী ছবি।
স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে এ বার বিভিন্ন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে আলাদা ভাবে আবেদন করার দিন শেষ হতে চলেছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমেই স্নাতকে ভর্তি হওয়ার আবেদন করতে পারবেন উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণরা। বিষয়টি দীর্ঘ দিন ভাবনাচিন্তার স্তরেই ছিল। সোমবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল উচ্চশিক্ষা দফতর।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সব সরকারি ও সরকার অনুমোদিত কলেজগুলিতে ভর্তির প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে অনেক দিন ধরেই উদ্যোগী তারা। সেই লক্ষ্যেই এই কেন্দ্রীয় পোর্টাল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল।
এত দিন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পৃথক ভাবে অনলাইনে ভর্তির ব্যবস্থা ছিল। তাতে প্রতিটি কলেজের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে ভর্তির আবেদন এবং ফি দিতে হত। শুধু তা-ই নয়, কলেজভেদে ভর্তির আবেদনের সময়সীমা আলাদা হত বলেও সমস্যায় পড়তে হত পড়ুয়াদের। সেই কারণে বহু কলেজে অনেক আসন খালিও থেকে যেত। এই সব বিষয় নজরে রেখেই কেন্দ্রীয় পোর্টাল তৈরির কথা ভেবেছে রাজ্য সরকার। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই তা চালু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোর্টাল দেখভাল করবে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। রক্ষণাবেক্ষণও তারাই করবে। ভর্তির সময় সংসদের একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফি জমা দিতে হবে। ভর্তি প্রক্রিয়ার এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তির টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তির সময় ছাত্র ইউনিয়নগুলি পড়ুয়াদের থেকে বিপুল অর্থ দাবি করে বলে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ ছিল। তার পরেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া অনলাইন করার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা দফতর। সেই মতো কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পৃথক পোর্টালের ব্যবস্থা করে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু উচ্চশিক্ষা দফতর বিষয়টি এক ছাতার তলায় আনার পক্ষপাতী ছিল, যাতে গোটা প্রক্রিয়া শিক্ষা দফতর সরাসরি নজরদারিতে রাখতে পারে।