Nabanna

নিয়ম মানার পরেও বরাদ্দ বন্ধ কেন, মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইবে রাজ্য

কেন্দ্রীয় পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। দিনক্ষণ জানা না গেলেও, কেন্দ্রের প্রাথমিক বার্তায় প্রস্তুতি শুরু করেছে নবান্নও।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪ ০৭:১৩
Share:

নবান্ন। —ফাইল চিত্র।

দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত না হলেও, দিল্লির দরবারে ডাক পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। ফলে গ্রামোন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে বকেয়ার তথ্য তৈরির নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। শরিকনির্ভর তুলনায় কিছুটা ‘দুর্বল’ তৃতীয় এনডিএ সরকারে গ্রামোন্নয়ন দফতরে মন্ত্রী বদল হয়েছে। ফলে নতুন মন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই বকেয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাখ্যা শুনবেন বলে রাজ্যের কর্তাদের একাংশের ধারণা।

Advertisement

২০২২ সালের নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে আবাস প্রকল্পের টাকা। তারও আগে বন্ধ হয়েছে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের বরাদ্দ। উপভোক্তা তালিকার সংশোধন থেকে প্রকল্প কার্যকর হওয়ার প্রমাণ—সব তথ্যই রিপোর্ট আকারে কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি রাজ্যের। আগের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ ও তাঁর আধিকারিকদের সঙ্গে বহুবার সাক্ষাৎ করেছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী ও আধিকারিকেরা। কার্যক্ষেত্রে একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনার বরাদ্দ ছাড়া হয়নি।

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। দিনক্ষণ জানা না গেলেও, কেন্দ্রের প্রাথমিক বার্তায় প্রস্তুতি শুরু করেছে নবান্নও। কোন পরিস্থিতিতে বরাদ্দ বন্ধ হয়েছিল, কী কী ত্রুটি ছিল, তার সংশোধনে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে, রিপোর্টে থাকবে সবই। কোন প্রকল্পে কত বকেয়া রয়েছে, তারও সবিস্তার তথ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে পেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “সব রাজ্যের সঙ্গে নতুন মন্ত্রী পর্যালোচনা শুরু করেছেন। নামের প্রথম অক্ষর মেনে ডাকা হলে ডাক আসতে কিছুটা দেরি হবে। তবে মন্ত্রীকে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করব।” এক কর্তার কথায়, “বকেয়ার সামগ্রিক তথ্য তুলে ধরে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।”

Advertisement

রাজ্যের বক্তব্য, বিপুল সংখ্যক অযোগ্যের নাম কেটে তালিকা সংশোধনের পরে প্রায় ১১.৩৬ লক্ষ আবাস-উপভোক্তাকে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রই। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত সব নির্দেশগুলি পালন করেছে রাজ্য। তার পরেও কোন যুক্তিতে টাকা ছাড়া হয়নি, প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, নতুন মন্ত্রীকে এই যুক্তি জানাতে পারে রাজ্য।

প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, লোকসভা ভোটে গোটা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও শাসকদলের আসন কম হওয়া ও গ্রামীণ এলাকার ভোটেও সেই প্রভাব থাকার নেপথ্যে বরাদ্দ আটকে রাখা অন্যতম কারণ হতে পারে। ফলে বরাদ্দের প্রশ্নে ইতিবাচক মনোভাব নিতে পারে কেন্দ্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement