ফাইল চিত্র।
উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের দ্বন্দ্বে কার্যত অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার সূত্রপাত গত শুক্রবার বিকেলে উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষের নির্দেশে রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়কে বিশেষ ছুটিতে পাঠানো নিয়ে। সোমবার উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে সহ-উপাচার্য গৌতম পালের নির্দেশে রেজিস্ট্রার ফের নিজের পদে যোগ দেন। কী ভাবে তাঁর আগের নির্দেশ টপকে এ রকম নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে, বুধবার দুপুরে সহ-উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন উপাচার্য। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে হবে বলেও ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে। তবে যাঁদের ঘিরে দ্বন্দ্ব তাঁদের কেউই কোনও কথা বলতে চাননি।
উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ। উপাচার্যের নির্দেশ অনুযায়ী বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক সুভাষ সরকার কার্যকরী রেজিস্ট্রার হয়েছেন। দেবাংশু রায়কে পুনর্বহাল করেছেন সহ-উপাচার্য। ফলে, রেজিস্ট্রার এখন আসলে কে, তা নিয়েই ধন্দ তৈরি হয়েছে। এই দ্বন্দ্বের জেরে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও কার্যত দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। যে পক্ষ উপাচার্যের পক্ষে, তাঁরা এখনও নীরব। কিন্তু সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পক্ষের লোকজনের দাবি, রেজিস্ট্রারকে অন্যায় ভাবে সরানো হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আধিকারিকদের বড় অংশ এ দিন কর্মবিরতি পালন করেন। পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরের খুব জরুরি কিছু কাজ ছাড়া কোনও কাজ করেননি। ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকদের যৌথ মঞ্চ গত দু’দিন উপাচার্যের ঘরের সামনে লাগাতার বিক্ষোভও দেখিয়েছে।
উপাচার্য-বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখ, তৃণমূল প্রভাবিত ওয়েবকুপা-র কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের যুগ্ম আহ্বায়ক সুজয়কুমার মণ্ডলের বক্তব্য, সহ-উপাচার্য ‘সার্চ কমিটি’র মাধ্যমে নিয়োগ পান। সরকারের সুপারিশের ভিত্তিতে আচার্য তাঁকে নিয়োগ দেন। উপাচার্য সহ-উপাচার্যের নিয়োগকর্তা নন। ফলে তাঁকে ‘শো-কজ’ করার ক্ষমতা আইনত উপাচার্যের নেই।