digha

বাড়তি ভিড় সামলানোই এখন পরীক্ষা দিঘায়

স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অতিমারির আগে গোটা বছরে ২০-২৫ লক্ষ মানুষ আসতেন দিঘায়। এ বছর এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে ডিসেম্বরের মধ্যে এই সংখ্যাটা ৩০ লাখে পৌঁছবে বলে তাঁদের আশা।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম 

দিঘা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:০৩
Share:

স্থানীয় প্রশাসনের আশা, এর ফলে পুজোর সময়ে অর্থাৎ অক্টোবরের প্রথম দশ দিন দিঘায় দৈনিক ৩৫-৪০ হাজার পর্যন্ত মানুষ আসতে পারেন। ফাইল ছবি

অতিমারির দু’বছরে পর্যটনে ছিল ভাটার টান। এ বারে পুজোয় তা পুষিয়ে দিয়ে পর্যটকের ঢল নামবে দিঘা এবং সংলগ্ন সৈকত শহরগুলিতে, আশা করছে প্রশাসন। তাদের একাংশের দাবি, এর মধ্যেই দিঘা তো বটেই, পুজোর দিনগুলির জন্য শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমনির প্রায় সব হোটেলের বুকিং সম্পূর্ন। চাহিদা এতটাই যে অনেক হোটেল ঘরভাড়া বাড়িয়েও বুকিং পেয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের আশা, এর ফলে পুজোর সময়ে অর্থাৎ অক্টোবরের প্রথম দশ দিন দিঘায় দৈনিক ৩৫-৪০ হাজার পর্যন্ত মানুষ আসতে পারেন। তাতে গত দু’বছরে ক্ষতি কিছুটা সামলানো যাবে বলেও তাদের বিশ্বাস।

Advertisement

স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অতিমারির আগে গোটা বছরে ২০-২৫ লক্ষ মানুষ আসতেন দিঘায়। এ বছর এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে ডিসেম্বরের মধ্যে এই সংখ্যাটা ৩০ লাখে পৌঁছবে বলে তাঁদের আশা। গত দু’বছরে ২৫টির মতো বড় ও মাঝারি হোটেলও তৈরি হয়েছে দিঘায়। এ বারে পুজোর আগে অনেকগুলিই খুলে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন হোম স্টেগুলিকে সামগ্রিক পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করছে।

তবে বেশি পর্যটক সামলানোটাও বড় চিন্তা প্রশাসনের। বিশেষ করে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সমুদ্রে নামা, সন্ধ্যায় সৈকতে বসে নেশা করা বা কোনও অপরাধমূলক কাজ যাতে কেউ করতে না পারে, সে দিকে কড়া নজর রাখতে হবে, কবুল করছেন স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনই। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানস মণ্ডল বলেন, ‘‘দিঘায় সমুদের ধার বরাবর সর্বত্র সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যত্রও ওই ব্যবস্থা চালু হবে।’’ জোয়ারের সময় জলে নামতে পর্যটকদের নিষেধ করার ক্ষেত্রে নুলিয়ারা বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন বলেও জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা।‌

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement