প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস একজোট হয়ে লড়াই করেছে। এর পর থেকে বিজেপি ও তৃণমূলের মোকাবিলায় বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধেই তাঁরা লড়তে চান বলে জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েও সমঝোতার পদ্ধতির বিষয়ে কংগ্রেসের আরও যত্নবান হওয়া উচিত বলে মনে করছে সিপিএম।
কলকাতায় এসে বিধান ভবনে মঙ্গলবার অধীরবাবু বলেছেন, বাম বা কংগ্রেসের কোনও কোনও নেতা যদি না-ও চান, দু’পক্ষেরই নিচু চলার কর্মীরা বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে চান। সাগরদিঘির পরে সমঝোতা রেখেই তাঁরা এগোচে চান বলে জানান অধীরবাবু। প্রদেশ সভাপতির কথায়, ‘‘সাগরদিঘির ভোটের আগে আমি নিজে বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিমকে বলেছিলাম, ওখানে আমরা শক্তিশালী। আপনারা প্রার্থী না দিয়ে সমর্থন করলে ভাল হয়। ওঁরা অত্যন্ত আন্তরিক ভাবে প্রস্তাব গ্রহণ করে একসঙ্গে লড়েছেন। তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। বিমানবাবুর কথা শুনে বাম শরিকদেরও সমর্থনের কথা বলেছিলাম। তবে সাগরদিঘির মানুষ চেয়েছেন বলেই অনেকটা সুষ্ঠু ভাবে ভোট হয়েছে।’’ সেই সঙ্গেই তিনি উল্লেখ করেছেন, সমঝোতার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের কোনও ‘লুকোচুরি’ নেই। বিধানসভায় ২০১৬ ও ২০২১ সালে সমঝোতা হওয়ার পরেও বামেরাই বরং ফের দূরত্ব রেখেছে।
এই প্রেক্ষিতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মত, ‘‘প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব শক্তির এক জায়গায় আসার আহ্বান আমরাও বারবার জানিয়েছি।’’ তবে তিনিও মনে করিয়ে দিয়েছেন, বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থীর পক্ষে সমর্থনের আবেদন সত্ত্বেও কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল। সাগরদিঘিতেও প্রস্তুতি অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পরে কংগ্রেস প্রার্থীর নাম জানানো হয়েছিল বামেদের। সুজনবাবুর মন্তব্য, ‘‘পুরনো কথা সব সময় মনে রাখার দরকার হয় না। তার পরেও সাগরদিঘিতে সমর্থন দিয়েছি, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা ভবিষ্যতেও আমাদের লক্ষ্য।’’