পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
তৃণমূল ও বিজেপি-কে একাসনে বসিয়ে আক্রমণ শানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সোমবার বিধান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে হাঁসখালির ঘটনায় রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসের কথাও সোমবার উল্লেখ করেন অধীর। বহরমপুরের সাংসদ বলেন, ‘‘হাথরস আর হাঁসখালির ঘটনার মধ্যে কোনও ফারাক নেই। আমি হাথরস গিয়েছিলাম। পুলিশের সাহায্যে সেখানে একটি মেয়েকে মেরে লোপাট করে দেওয়া হচ্ছে। হাঁসখালির ঘটনায় পুলিশ নেই। কিন্তু তৃণমূল নিশ্চয়ই জড়িত আছে। আমি নিন্দা করছি।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্য ইতিমধ্যে হাথরসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। হাঁসখালির ঘটনা জানাজানি হয়ে গিয়েছে। এমন কত ঘটনা ঘটে গিয়েছে আমি, আপনি জানি না। বিজেপি আর তৃণমূল একই মুদ্রার দুটো পিঠ। মানুষকে তারা শাসন করছে। মানুষকে বিপদে ঠেলে দিচ্ছে। এ বাংলায় শিল্প নেই, শিক্ষা নেই। রোজ খুন ধর্ষনের খবর।’’
সোমবার হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ‘‘আপনি রেপ বলবেন, না কি প্রেগন্যান্ট বলবেন, না কি লভ অ্যাফেয়ার বলবেন...না কি শরীরটা খারাপ ছিল, না কি কেউ ধরে মেরেছে... আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটা কী? ঘটনাটা খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। মেয়েটার নাকি লাভ অ্যাফেয়ার ছিল শুনেছি।’’
পর ক্ষণেই মমতার মন্তব্য, ‘‘মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখে। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখে। যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে ৫ তারিখে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন?’’ মুখ্যমন্ত্রী এ-ও দাবি করেন, ‘‘কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কী ভাবে এর তদন্ত করবে পুলিশ?’’
মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর বলেন, ‘‘হাঁসখালির ঘটনায় তৃণমূলের ভূমিকার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। যে বয়সে পুতুল নিয়ে খেলার কথা, সেই বয়সে ধর্ষণের শিকার!মুখ্যমন্ত্রী একবার নিন্দা করলে ভাল লাগত।’’ তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো একজন মহিলা। বাংলার নারী সমাজ এই কথা কীভাবে নেবে? আমার খারাপ লাগছে। অপরাধীদের ধরবেন না? সে কি মা মাটি মানুষের তালিকায় পড়ে না?’’