ছবি: পিটিআই।
আর বিলম্ব নয়! তৃণমূল এবং বিজেপির মোকাবিলায় সরাসরি রাস্তায় নেমে বাম ও কংগ্রেসকে যৌথ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে— এই আহ্বান জানালেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অবিলম্বে দুই পক্ষ এক হতে না পারলে কংগ্রেসও থাকবে না, সিপিএমও থাকবে না।’’
বাম জমানার প্রয়াত মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর স্মরণ-অনুষ্ঠান উপলক্ষে ব্যারাকপুরের সুকান্ত সদনে শনিবার প্রধান বক্তা ছিলেন অধীরবাবুই। লোকসভা ভোটের পর থেকে ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়ায় যে লাগাতার অশান্তি চলছে, তার প্রেক্ষিতেই এ বার সুভাষ-স্মরণের আয়োজন হয়েছিল এই প্রথম কংগ্রেসের কোনও বড় নেতাকে এই স্মরণ-অনুষ্ঠানে বক্তৃতার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হল। ‘সুভাষ চক্রবর্তী ফাউন্ডেশনে’র উদ্যোগে এ দিনের আলোচনার বিষয়ও ছিল ‘অসহিষ্ণুতার বর্বরতা আর কতদিন?’ অধীরবাবু সেখানে বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দুর্বল হয়েছেন। তাই সুর বদলে সকলকে এক হতে বলছেন। আমাদের সংসদে সংখ্যা কমেছে। সুর বদলায়নি। আমরা বলছি, তৃণমূল আর বিজেপি দু’টোই বিপদ।’’
এর মোকাবিলায় নিজেদের ভুল স্বীকার করে মানুষের কাছে দাঁড়ানোর কথাও বলেছেন অধীরবাবু। আলোচনায় সময় নষ্ট না করে পথে নামার ডাক দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বামেদের সঙ্গে কোনও জিনিস ঠিক করতে গেলে পাঁচ বার আলোচনা করতে হয়। এখন এত সময় নেই। হল, সেমিনার, বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে সরাসরি রাস্তায় গিয়ে সোজা কথা মানুষকে সোজা ভাবে বলতে হবে। তবেই এগোতে পারব।’’
সিপিএমের পলিটবুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিমও অসহিষ্ণুতা এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর’ মানুষের ঐক্য গড়ে তোলার কথা বলেন। সেলিম মনে করিয়ে দেন, ‘‘তৃণমূলের বিকল্প বিজেপিকে ভাবা বিরাট ভুল। বাংলায় পুরসভা ও পঞ্চায়েতে মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূল। পঞ্চায়েতে ৩৪% আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। পাশের ত্রিপুরায় বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে ৮৭%। ফলে চিত্রনাট্য একই। মডেলও এক।’’