সংগঠনই আগে, বার্তা অধীরের

প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি দলের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর পরামর্শ ছিল, বাংলায় বিজেপি-র উত্থান রুখতে গেলে আগে নিজেদের সংগঠনের জোর বাড়াতে হবে। ব্লক স্তর থেকে কমিটি ঠিক রাখতে হবে। সেইমতোই কাজে নেমে পড়েছেন অধীর চৌধুরী।

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৭ ০৪:০১
Share:

প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি দলের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর পরামর্শ ছিল, বাংলায় বিজেপি-র উত্থান রুখতে গেলে আগে নিজেদের সংগঠনের জোর বাড়াতে হবে। ব্লক স্তর থেকে কমিটি ঠিক রাখতে হবে। সেইমতোই কাজে নেমে পড়েছেন অধীর চৌধুরী।

Advertisement

সব জেলার সভাপতিদের প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নির্দেশ, ৩১ মে-র মধ্যে সদস্যপদ নবীকরণের কাজ সম্পূর্ণ করে বিধান ভবনে তালিকা জমা দিতে হবে। এআইসিসি-র নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। তার জন্য পশ্চিমবঙ্গে সদস্যপদ নবীকরণ শেষ করার দিন ছিল ১৫ মে। কিন্তু সব জেলা তার মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রদেশ সভাপতি অধীর স্বয়ং মঙ্গলবার বিধান ভবনে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেই নির্দেশ জারি করা হয়েছে, সদস্যপদই দলের ভিত্তি। সেই কাজে কোনও গাফিলতি চলবে না। অধীরবাবুর যুক্তি, ‘‘কারও উপরে নির্ভরশীল হয়ে থাকা কোনও কাজের কথা নয়। জাতীয় কংগ্রেস তার নীতি-আদর্শ বজায় রেখে লড়াইয়ের ময়দানে থাকবে। দিল্লি যখন জানতে চাইবে আমরা আমাদের কাজ করেছি কি না, তার উত্তর তো দিতে হবে। তাই সংগঠনের কাজ গুছিয়ে নিতে হবে।’’

কংগ্রেস সূত্রের খবর, সদস্যপদ অভিযানে দলের তরফে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীকে। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, বীরভূমের মতো জেলায় সদস্যপদের কাজ তুলনায় ভাল। কিন্তু পিছিয়ে রয়েছে হুগলি বা কলকাতার তিনটি সাংগঠনিক জেলা। এর আগে প্রদেশ সভাপতির স্ত্রী, ভাই বা অন্য কোনও নিকটাত্মীয়কে এআইসিসি-র সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নজির আছে কংগ্রেসে। এ বার প্রদেশ সভাপতির নির্দেশ, স্বজনপোষণ ছেড়ে শুধু ‘কাজের লোক’কেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রদেশ কংগ্রেসের এক সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘‘বেনো জলের কোনও দরকার নেই! সামনে থেকে যারা লড়াইটা করতে পারবে, তারাই থাকবে।’’ সাংগঠনিক কাজেই এ দিন দিল্লি গিয়েছেন আব্দুল মান্নান।

Advertisement

বস্তুত, সার্বিক ভাবে দলকে এখন রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পথেই রাখতে চাইছেন প্রদেশ নেতৃত্ব। তিনটি পুরভোটের ফলে স্থগিতাদেশ চেয়ে কংগ্রেসের তরফে মামলা করা হয়েছে। প্রদেশ সভাপতি নিজেই দায়িত্ব দিয়েছেন দলের আইনজীবী-নেতা ঋজু ঘোষালকে। অধীরবাবু নিজে এ দিন সন্ধ্যায় জনসভা করেছেন যাদবপুরে। তাঁর বার্তা, অল্প লোক হলে হোক। কিন্তু দলকে যেন রাস্তায় দেখা যায়। দিল্লিতে সনিয়া গাঁধী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হলেও অধীরবাবুর সাফ যুক্তি, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা যাবে না, এমন কোনও সঙ্কেত তো হাইকম্যান্ড দেয়নি!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement