—প্রতীকী ছবি।
মাদক মামলায় গ্রেফতারের পদ্ধতিতে গাফিলতির অভিযোগে জামিন পেলেন এক সাজাপ্রাপ্ত আসামী। এর পরেই আদালতের ওই রায়ের কপি-সহ মাদক মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন জেলাকে সর্তক করলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (লিগ্যাল) আনন্দ কুমার।
পুলিশকর্মীরা কী ভাবে মাদক মামলার তদন্ত করবেন, তা নিয়ে সম্প্রতি এডিজি উত্তরবঙ্গকেও প্রশিক্ষণ শিবির করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ। গত মঙ্গলবার কোচবিহারের পুলিশের হাতে মাদক মামলায় ধৃত এবং সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দিকে জামিন দিতে গিয়ে ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতিরা। আর তার পরেই রাজ্য পুলিশের তরফে মামলার তদন্ত, গ্রেফতারের পদ্ধতি এবং বিচারপর্ব নিয়ে সর্তক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুলিশের বিরুদ্ধে প্রায়ই মিথ্যে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠে। তা আটকাতেই মাদক মামলায় (বাণিজ্যিক পরিমাণ মাদক উদ্ধার হলে) মাদক বাজেয়াপ্ত করার সময়ে তার পুরো প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, ওই নির্দেশ ছাড়াও পুরো প্রক্রিয়াকে সন্দেহের ঊর্দ্ধে রাখতে এবং আদালতের কাছে পুরো বিষয়টি স্বচ্ছ রাখতে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা অমান্য করলে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।