দরপত্রের অতিরিক্ত বরাদ্দে নিষেধাজ্ঞা জারি পূর্ত প্রকল্পে

২৮ নভেম্বর বিভাগীয় প্রধানদের এক নির্দেশে পূর্তসচিব জানান, দরপত্রের সময় যে দর হাঁকা হয়েছিল, তার অতিরিক্ত এক পয়সাও বরাদ্দ করা হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৪১
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

একে ভাঁড়ারে টান, তার উপর দরপত্রে হাঁকা দরের চেয়েও বাড়তি টাকা চেয়ে পূর্ত দফতরে ফাইলের পাহাড় জমেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাস্তা, সেতু, বাড়ি তৈরির জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দের অসংখ্য প্রস্তাব এসে জমা হয়েছে নবান্নে। হিসেব বলছে, দরপত্রের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করতে হলে রাজ্য পরিকল্পনা খাতের অধিকাংশ টাকাই বেরিয়ে যাবে। বিপদ বুঝে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়ার উপর কার্যত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন পূর্তসচিব নবীন প্রকাশ।

Advertisement

২৮ নভেম্বর বিভাগীয় প্রধানদের এক নির্দেশে পূর্তসচিব জানান, দরপত্রের সময় যে দর হাঁকা হয়েছিল, তার অতিরিক্ত এক পয়সাও বরাদ্দ করা হবে না। কোনও বিভাগ যেন এ সংক্রান্ত প্রস্তাব না পাঠায়। সচিবের নির্দেশে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত টাকা চাওয়ার ঘটনায় প্রমাণ হচ্ছে যে, দরপত্র তৈরির সময় ইঞ্জিনিয়াররা বিস্তারিত রিপোর্ট, প্রকল্পস্থলের বাস্তব পরিস্থিতি বা খরচ নিয়ে আদৌ কোনও ধারণা করতে পারেননি। ফলে বরাত দেওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে, দরপত্রের বরাদ্দে প্রকল্প শেষ হচ্ছে না। ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি সচিবের নির্দেশ, এখন থেকে সব দিক দেখেশুনে প্রকল্প তৈরি করুন, যাতে অতিরিক্ত খরচ দিতে না হয়।

অবশ্য অত্যন্ত জরুরি পরিস্থিতিতে প্রকল্পের খরচ বাড়াতে হলে প্রজেক্ট স্ত্রিনিং কমিটির কাছে তা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন সচিব। উপযুক্ত কারণ-সহ তা কমিটির কাছে এলে দফতর তা বিচার করবে বলে সচিব নির্দেশে জানিয়েছেন। এ ছাড়া, প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে বিশেষজ্ঞ সংস্থার পরামর্শ, গুণমান বিচার, নজরদারি চালানো এবং প্রকল্পের এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি, জলের পাইপের মতো পরিষেবা সরানোর প্রয়োজন হলে তার খরচ মিলবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: জয় আসবে, আশা পরিষদের

পূর্ত দফতরের খবর, দরপত্রে দেওয়া দরে বহু ঠিকাদার সংস্থা প্রকল্প শেষ করতে পারছে না। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রকল্প শেষ করতে দেরি হচ্ছে। সময়ে প্রকল্প শেষ না হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ আবার জমি না-মেলা। দরপত্রের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরেও অনেক প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। ফলে খরচ বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক বলে দফতর কর্তাদের কাছে জানিয়েছে ঠিকাদার সংস্থাগুলি।

পূর্তকর্তাদের বক্তব্য, অতিরিক্ত খরচে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সময়ে প্রকল্প শেষ করার ব্যাপারে চাপ থাকবে। জমি-জটে প্রকল্প থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ইঞ্জিনিয়ারদের জট কাটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকার বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়েই দরপত্র চাওয়া হবে বলে জানাচ্ছেন পূর্তকর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement