Subhas Sarkar

Subhash Sarkar: আচার্য বিল বাড়াবে সংঘাত, দাবি সুভাষের

মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার সিদ্ধান্তে বিশ্বিবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলি স্বশাসন হারাবে বলেও দাবি করেন সুভাষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২২ ০৭:১০
Share:

ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে আচার্য হিসেবে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাবে সায় দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। আগামী দিনে ওই বিলটি বিধানসভায় পাশ হয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য রাজ্যপালের কাছে গেলে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মধ্যে অহেতুক সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার সিদ্ধান্তে বিশ্বিবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলি স্বশাসন হারাবে বলেও দাবি করেন সুভাষ। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক শিক্ষাক্ষেত্রে বরাবরই স্বশাসনের পক্ষে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলির স্বশাসন নষ্ট হবে। এর ফলে কর্মী নিয়োগ থেকে ছাত্র ভর্তি সব ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক অনুপ্রবেশের রাস্তা খুলে গেল।’’ আগামী দিনে ওই বিলটি ঘিরে রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে এক প্রস্থ মন কষাকষির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আজ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর যে বিল তা বিধানসভায় পাশ হয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য রাজ্যপালের কাছেই যাবে। যা ভবিষ্যতে দুই শিবিরের মধ্যে সংঘাত ডেকে আনতে পারে।’’ এ দিকে আজ দিল্লিতেই ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দুপুরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।

আজ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে শুরু হয়েছে ভিজিটর্স সম্মেলন। বর্তমানে রাষ্ট্রপতি দেশের ১৬১টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিজিটর পদে রয়েছেন। সেগুলির মধ্যে ৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ দিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যোগদান করেন। বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মানোন্নয়নের উপরে জোর দেন কোবিন্দ। তিনি এ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানে উন্নীত করার উপরে জোর দেন। একই সঙ্গে বিজ্ঞান পড়ার উপরে বিশেষ ভাবে জোর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর কথায়, ‘‘সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়ন ঘটাতে গবেষণালব্ধ কাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই আমাদের শিক্ষার লক্ষ্যই হওয়া উচিত শিক্ষাজগৎ, শিল্প ও নীতি নির্ধারকদের মধ্যে মেলবন্ধন।’’

Advertisement

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement