রাস্তা আটকে চাঁদা নয়, বলছেন ছেলে-হারা মা 

পুলিশ জানিয়েছে, দাসপুরের যুবক রাজেশ মধ্যপ্রদেশে কাঠের কাজ করেন। কয়েক বছর ধরে বন্ধুদের সঙ্গে কালীপুজো শুরু করেছিলেন। ভাইফোঁটার পরই কাজে ফেরার কথা ছিল তাঁর। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৩২
Share:

হাহাকার: মৃত রাজেশ দোলইয়ের মা সুমিতাদেবীর কান্না। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।

রাস্তা আটকে চাঁদা আদায় করছিলেন ছেলে। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এ কথা জানার পরই মৃতের মায়ের আর্তি, ‘‘আর যেন কারও বাড়ির ছেলে রাস্তা আটকে চাঁদা আদায় না করে। পুলিশ যেন ব্যবস্থা নেয়।”

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাসপুর শহরে সবুজ সঙ্ঘের মাঠ সংলগ্ন রাস্তা আটকে কালীপুজোর চাঁদা তুলছিলেন কয়েক জন যুবক। ওই দলে ছিলেন রাজেশ দোলইও (২১)। দাবি মতো টাকা না পাওয়ায় গাড়ি চালকদের সঙ্গে বচসায় জড়ান ওই যুবকেরা। হঠাৎই পাঁশকুড়াগামী কয়লা বোঝাই একটি লরির সামনে পড়ে যান রাজেশ। তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায় লরি। স্থানীয় বাসিন্দারা রাজেশকে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে রাজেশের মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবারের ঘটনার পরই ঘাটাল মহকুমা জুড়ে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। রাজেশের মা সুমিতা বলেন, ‘‘পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিক। না হলে আরও অনেক মায়ের কোল খালি হয়ে যাবে।” স্থানীয়দের অভিযোগ, ইদানীং বছরভর রাস্তা আটকে যথেচ্ছ ভাবে চাঁদা আদায় চলছে। হাতে লাঠি নিয়ে গাড়ি আটকে চালকদের হাতে গুঁজে দেওয়া হচ্ছে রসিদ। দাবি মতো টাকা না দিলে চালকদের মারধর করা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, দাসপুরের যুবক রাজেশ মধ্যপ্রদেশে কাঠের কাজ করেন। কয়েক বছর ধরে বন্ধুদের সঙ্গে কালীপুজো শুরু করেছিলেন। ভাইফোঁটার পরই কাজে ফেরার কথা ছিল তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement