অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে এবিভিপি

দু’মাস আগেও বাংলার ছাত্র রাজনীতিতে তাদের কার্যত কোনও জায়গা ছিল না। সংগঠন থাকলেও, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের অস্তিত্ব সে ভাবে চোখে পড়েনি কখনও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৯ ০২:২৪
Share:

আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) আচমকাই অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করেছে।

দু’মাস আগেও বাংলার ছাত্র রাজনীতিতে তাদের কার্যত কোনও জায়গা ছিল না। সংগঠন থাকলেও, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের অস্তিত্ব সে ভাবে চোখে পড়েনি কখনও। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে ৪০ শতাংশ ভোট পাওয়ার পরে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) আচমকাই নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কলাকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে তারা জানিয়ে দেয়, এক মাসের মধ্যে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০০টি ইউনিট এবং দেড় লক্ষ সদস্য পদ তৈরি করা তাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এ বার কলেজে কলেজে ধর্না ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে বলেও এ দিন জানিয়েছে এবিভিপি।

মানিকতলার সদর কার্যালয়ে এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে সংগঠনের প্রদেশ সম্পাদক সপ্তর্ষী সরকার বলেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। কিন্তু এখনও সিংহভাব কলেজে দাদাগিরি করছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এর প্রতিবাদে আগামী ২ জুলাই থেকে কলেজে কলেজে বিক্ষোভ দেখাব আমরা। অধ্যক্ষদের ডেপুটেশন দেওয়া হবে।’’

Advertisement

বছর কয়েক আগে রাজ্য সিদ্ধান্ত নেয়, ছাত্র সংসদ নয়, কলেজে কলেজে গড়ে তোলা হবে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মডেলে ছাত্র কাউন্সিল। কিন্তু ছাত্র কাউন্সিল এখনও আলোর মুখ দেখেনি। গত দু’বছর ধরে শুরু হয়নি ওই কাউন্সিল গঠনের প্রক্রিয়া। শেষ ছাত্র নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে। তার পর থেকে কোনও নির্বাচন হয়নি। কাউন্সিলহীন কলেজে কী ভাবে ছাত্র-রাজনীতি চলবে, তা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হলে বেশ কিছু দিন আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন, যে সব কলেজে ছাত্র সংসদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে, সেখানে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ছাত্র সংসদের কাজ চালাবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাই।

সপ্তর্ষী জানান, গত ২৭ মে থেকে ২৯ মে চেন্নাইয়ে গুরু নানক বিদ্যার্থী পরিষদের বৈঠকে কলেজ ক্যাম্পাস কী ভাবে বাড়ানো যায় এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সারা দেশ জুড়ে সাত দিনের মধ্যে ২৫ হাজার কলেজ ইউনিট এবং ৫০ লক্ষ সদস্যপদ তৈরি করা তাঁদের লক্ষ্য। রাজ্যে পয়লা জুলাই থেকে ১০ জুলাই এবং ১০ অগস্ট থেকে ২০ অগস্ট পর্যন্ত সদস্যপদ সংগ্রহ করা হবে বলে তিনি জানান।

কলেজগুলোতে নিজেদের ইউনিট তৈরি করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহন করছে এবিভিপি। ‘মিশন সাহসী’ নামে একটি প্রকল্পে তারা কলেজে কলেজে গিয়ে মেয়েদের আত্মরক্ষার কিছু সাধারণ পদ্ধতি শেখাবেন। এবিভিপি নেতা মৃন্ময় দাস বলেন, ‘‘আত্মরক্ষার জন্য সমস্ত মেয়েকে ক্যারাটে শেখানো কঠিন। কিন্তু আত্মরক্ষার কিছু সহজপাঠ সহজেই শেখানো যায়। যেগুলো খুব কাজে লাগে। আমরা কলেজে কলেজে গিয়ে ছাত্রীদের এই আত্মরক্ষার পাঠ দেব।’’ এ ছাড়াও কলেজে জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য ‘সেলফি উইথ ক্যাম্পাস’ নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলে জানান মৃন্ময়। সেখানে তাঁদের সদস্যরা কলেজ ক্যাম্পাসে সেলফি তুলে সেই কলেজের সুবিধা অসুবিধার কথা তাঁদের এবিভিপির পেজে লিখবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement