গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
করোনার সংক্রমণ শিক্ষাক্ষেত্রে যে ভাবে আঘাত হেনেছে, তা এক কথায় অভূতপূর্বই বলা চলে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কর্তৃপক্ষ থেকে পড়ুয়া— দু’তরফের উপরেই এখন বড়সড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে সিলেবাস বনাম সময়ের যুদ্ধ। সময় নষ্ট না করতে, নতুন পথে ভাবতে হচ্ছে শিক্ষক-ছাত্র সবাইকেই। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র রাস্তা— পুরোদস্তুর অনলাইন শিক্ষা। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষকশিক্ষিকা বা ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি কি দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনতে সক্ষম?
এর উত্তর দেওয়ার আগেই যে সমস্যা সামনে এসে দাঁড়ায় তা হল— ডিজিটাল পরিষেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সুযোগসুবিধার বৈষম্য। অন্য দিকে প্রশ্নটা হল— লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুললেও ক্যাম্পাসে কি যথাযথ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা যাবে? এ সবগুলোই ভাবাচ্ছে শিক্ষক ও পড়ুয়া উভয় মহলকেই।
এই প্রশ্ন বা সমস্যাগুলি তো বটেই, এ সংক্রান্ত আরও নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দিতে মুশকিল আসান হয়ে উঠছে ‘এবিপি এডুকেশন’। আগামী ৩০ মে ৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে লাইভ ওয়েবিনার- ‘ভাইস চ্যান্সেলার্স রাউন্ড টেবল’-এ আপনি আপনার এমন বহু প্রশ্নেরই উত্তর পেয়ে যাবেন। বিনামূল্যে রেজিস্টার করুন এখানে।
রাউন্ড টেবল-এ থাকছেন যাঁরা:
অধ্যাপক সুরঞ্জন দাস, উপাচার্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়: আলোচনা করবেন ‘কোভিড ১৯-পরবর্তী ভারতীয় উচ্চশিক্ষা— সুযোগসুবিধা ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে। তাঁর মতে— শিক্ষা, গবেষণা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রক্রিয়া কিংবা চাকরির আবেদনে অনলাইন যোগাযোগ এখন ব্যতিক্রমের বদলে নিয়ম হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দ্রুত এই নতুন ব্যবস্থায় নিজেদের অভ্যস্ত করে নিতে হবে।
অধ্যাপিকা অনুরাধা লোহিয়া, উপাচার্য, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়: মনে করেন, উচ্চশিক্ষা দেওয়ার প্রচলিত পদ্ধতির পথেই কাঁটার মতো বিঁধে গিয়েছে করোনার দ্রুত সংক্রমণ এবং তার জেরে বিপুল প্রাণহানির বিষয়টি। এই পরিস্থিতিতে করোনা যদি দীর্ঘকালীন ভাবে জীবনযাত্রার সঙ্গী হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রসার হবে কী ভাবে? তাঁর বিশ্বাস, এই নতুন জটিলতার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে শিক্ষাদানের নতুন পদ্ধতি খুঁজে নেওয়াই হবে এর সমাধানের পথ।
রেভারেন্ড ফাদার জে ফেলিক্স রাজ, এস জে, উপাচার্য, সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়: বিশ্বাস রাখেন ইতিবাচক মানসিকতায়, যা কোভিড পরবর্তী দিনগুলিতে জরুরি। কারণ, আচমকা এই বিপর্যয় এক দিকে যেমন ব্যাপক হারে ক্ষতি ডেকে এনেছে, তেমনই গোটা বিশ্বকে দাঁড় করিয়েছে চ্যালেঞ্জের মুখে। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই শিক্ষাদান, শেখা এবং গবেষণার জন্য পা বাড়িয়েছে ডিজিটাল পথে। তবে তাঁর মতে, শিক্ষাক্ষেত্রে অনলাইন এবং প্রচলিত পদ্ধতির সঠিক মিশেল খুঁজে নেওয়া আবশ্যিক।
অধ্যাপক নির্মলকান্তি চক্রবর্তী, উপাচার্য, ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিকাল সায়েন্সেস: বক্তব্য রাখবেন ‘করোনা-পরবর্তী সময়ে পেশাদার আইনশিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ’ নিয়ে।
অধ্যাপক সৈকত মিত্র, উপাচার্য, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি: করোনা-উত্তর সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার কী ভাবে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে, সে বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।
অধ্যাপক ডক্টর দীপেন্দ্রকুমার কুমার ঝা, উপাচার্য, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি, কলকাতা: মতামত জানাবেন অতিমারি-উত্তর সময়ে ফলাফল ভিত্তিক শিক্ষার (আউটকাম বেসড এডুকেশন) প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে।
অধ্যাপক ডক্টর ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, উপাচার্য, সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়: বক্তব্য রাখবেন আগামী দিনে প্র্যাক্টিক্যাল নির্ভর কোর্স এবং পেশাদার কোর্সের পরিবর্তনের বিষয়ে।
অধ্যাপক ডক্টর বিমলচন্দ্র মাল, উপাচার্য, জেআইএস বিশ্ববিদ্যালয়: মতামত জানাবেন পড়ুয়াদের উপর করোনাভাইরাসের মানসিক প্রভাব রোধ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে কী ভাবে তার সমাধান করা যায়, সেই বিষয়ে।
সঞ্চালনায় থাকছেন
অধ্যাপক উজ্জ্বল কে চৌধুরী, সহ উপাচার্য, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি, কলকাতা
সময়
আগামী ৩০ মে, বিকেল ৩টে। লাইভ ওয়েবিনারে উপস্থিত থাকতে বিনামূল্যে রেজিস্টার করুন এখানে।