রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।—ফাইল চিত্র।
রাজ্যপাল হলে সংযত থাকতে হবে। না হলে রাজ্যপাল পদের বদলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত বলে নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
এর আগেও কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সংঘাতের প্রশ্নে মমতার পাশেই দাঁড়িয়েছে। আজ কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে, করোনা-অতিমারির মোকাবিলার সময় কেন্দ্রীয় সরকার নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে, কিন্তু রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে। মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “রাজ্যপালের সব সময়ই শুধু মাত্র গঠনমূলক ভূমিকা থাকে। রাজ্যপালকে শোনা যাবে, কিন্তু দেখা যাবে না। একমাত্র ৩৫৬ ধারা জারি, সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়লে বা বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার দরকার পড়লে অন্য কথা। তিন-চারটি মূল বিষয় হল, রাজ্যপাল মন্ত্রীদের পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু পরামর্শ মানা না হলে চাপাচাপি করতে পারেন না। তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের সরকারের সমালোচনা করতে পারেন না। তিনি মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কোনও বিশেষণ প্রয়োগ করতে পারেন না।”
মনু সিঙ্ঘভির বক্তব্য, তিনি নির্দিষ্ট করে কোনও রাজ্যপালের কথা বলছেন না। দু-এক জন রাজ্যপালের ক্ষেত্রে এই সব কথাই খাটে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে দীর্ঘ চিঠি লিখে তাঁর সমালোচনা করেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “রাজ্যে দুটি ক্ষমতার কেন্দ্র থাকতে পারে না। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিতে পারেন। ধরা যাক, চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কোনও পরামর্শই শুনলেন না। তার সমাধান মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করা নয়। সমাধান হল, চুপ থাকা। মুখ্যমন্ত্রী ভুল করলে ভোটাররা বুঝে নেবেন। আপনি চিঠি লিখতেই পারেন। আপনি সংযত না থাকতে পারলে রাজ্যপাল হওয়া উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।”