কেশপুরে শনিবার জনসভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব ছবি।
বাংলার রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের সঙ্গে ভীষণ ভাবে জড়িয়ে রয়েছে কেশপুর। পশ্চিম মেদিনীপুরের সেই কেশপুরে শনিবার জনসভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইভোল্টেজ এই সভার আগের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। শাসকদল তৃণমূলের দাবি, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের এই সভায় ‘রেকর্ড’ ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্তত ২ লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে পারে বলে অনুমান জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের।
শনিবার কেশপুরের আনন্দপুর হাই স্কুলের মাঠে জনসভা করবেন অভিষেক। সভার প্রস্তুতির শেষবেলায় এখন মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছে জোরকদমে। গোটা এলাকা তৃণমূল আর অভিষেকের ছবি দেওয়া ব্যানার-ফ্লেক্সে মুড়ে ফেলা হয়েছে। প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বারবার তল্লাশিও করছেন সভার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ পুলিশকর্মীরা। স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে এলাকা। ভিড় নিয়ন্ত্রণে মোট ১৮টি ব্যারিকে়ড করা হয়েছে। ৫টি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে সভাস্থলে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের কর্মী-সমর্থকদের সভাস্থলে নিয়ে আসার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করেছে দলীয় নেতৃত্বই। বাস, পিক আপ ভ্যান মিলিয়ে অন্তত কয়েক হাজার গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি জানিয়েছেন, দু’লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে পারে, এমন মাঠই বেছে নেওয়া হয়েছে। তবুও অজিতের সংশয়, ‘‘মাঠ ভিড়ে উপচে পড়বে। সবাইকে জায়গায় দেওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। সব কর্মী-সমর্থকদের জায়গা দেওয়া না-ও যেতে পারে, এই ভেবে সভাস্থলের চারদিকে পাঁচটা জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানোর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’
দলীয় সূত্রে দাবি, সড়কপথেই সভাস্থলে আসার কথা অভিষেকের। তার জন্য পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হচ্ছে। এর জেরে রাস্তায় তীব্র যানজট তৈরি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, যাত্রীদের হয়রানি এড়াতে বিকল্প পথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘যেখানে সভা হচ্ছে, সেই সভাস্থল এবং আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা পর্যাপ্ত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্যও বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি।’’