মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কার্শিয়াঙে মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে আবেশের বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে ৭ ডিসেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন বলে আগেই জানা গিয়েছিলন নবান্ন সূত্রে। তবে অভিষেক সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন কি না সে ব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি। কিন্তু উত্তরবঙ্গের প্রশাসন সূত্রে খবর, ৭ তারিখ অভিষেকের যে সূচি রয়েছে, তাতে তিনি খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন।
রবিবার রাত পর্যন্ত প্রশাসন সূত্রে যা খবর তাতে, সোমবার দুপুর ১টার সময়ে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমান ধরার কথা অভিষেকের। পৌনে ২টো নাগাদ তিনি পৌঁছবেন বাগডোগরা বিমানবন্দরে। তার পর সেখান থেকে সড়ক পথে কার্শিয়াং যাওয়ার কথা ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের। মঙ্গল ও বুধবার অভিষেকের বিস্তারিত কর্মসূচি বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার অভিষেকের যাওয়ার কথা কার্শিয়াঙের নয়াবাজার কমিউনিটি হলে।
সম্প্রতি তৃণমূলের মধ্যে মমতা এবং অভিষেককে ঘিরে দুই শিবিরের মধ্যে একটা চাপানউতর চলছে। কুণাল ঘোষ অভিষেকের নেতৃত্বের পক্ষে সওয়াল করে বলেছেন, ওঁকে বাদ দিয়ে তৃণমূল অসম্পূর্ণ। কেন নেতাজি ইনডোরের বিশেষ অধিবেশনের মঞ্চে অভিষেকের ছবি ছিল না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। এবং তা প্রকাশ্যে। আবার কুণালকে পাল্টা বিঁধেছেন সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, মমতার ছবি মঞ্চে ছিল, সেটাই যথেষ্ট। সৌগতকে আবার পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এ হেন পরিস্থিতিতে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যদি মমতা-অভিষেক একসঙ্গে উপস্থিত থাকেন, তা হলে তা দলের মধ্যেও বার্তা দেবে বলে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকে।
গত বছর মার্চ মাসের শেষে পাহাড় সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একটি সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, “আমাদের পরিবারের একজনকে বিয়ে দিচ্ছি। পাহাড়ের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে। ওকে বাড়ির বৌমা করে নিয়ে যাব। আপনাদের বাড়ি এখন আমারও বাড়ি।” প্রসঙ্গত, মমতার উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক কর্মসূচিও রয়েছে। তাঁর ফেরার কথা ১২ ডিসেম্বর। তবে অভিষেক আগামী বৃহস্পতিবারই কলকাতায় ফিরে আসবেন বলে খবর।