(বাঁ দিক থেকে) ২০ মে নিজাম প্যালেসে, ১৩ সেপ্টেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে ও ৯ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবে শেষ দু’টি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার সময়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরনে ছিল কালো পোশাক। কিন্তু বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ইডি দফতরে পৌঁছেছিলেন সাদা ফুলস্লিভ শার্ট আর কালো ফর্মাল ট্রাউজ়ার্স পরে। কালো পোশাকের বিষয়ে প্রশ্ন করায় গত ১৩ সেপ্টেম্বরই অভিষেক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পরের হাজিরায় তিনি আর কালো রঙের পোশাক পরবেন না।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেককে ডাকা হয়েছিল। সকাল ১১টা নাগাদ দেখা যায় তাঁর কালো গাড়ির পিছনের আসনে বসে সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করছেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’। এক ঘণ্টার মধ্যে তিনি বেরিয়েও আসেন জিজ্ঞাসাবাদের শেষে। এখন প্রশ্ন হল, আগের দিন কী বলেছিলেন অভিষেক?
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ইডি বা সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিতে গেলেই তিনি কেন কালো পোশাক পরেন? এটা কি তাঁর জন্য ‘সৌভাগ্য’ বলে মনে হয়? জবাবে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেছিলেন, ‘‘না-না! ওই রকম কোনও বিষয় নেই। আমি রং পরি না। সাদা অথবা কালো পরতে ভাল লাগে।’’ তার পরে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘‘ঠিক আছে। আপনারা যখন বলছেন, পরের দিন অন্য (রং) পরে আসব।’’ সেই মতোই বৃহস্পতিবার তাঁকে দেখা গেল সাদা শার্টে।
প্রসঙ্গত, অভিষেক পাঞ্জাবি পরলেও সাধারণত সাদা অথবা কালো পরেন। তবে একটি গাঢ় নীল রঙের পাঞ্জাবিতেও মাঝেমাঝে তাঁকে দেখা যায়। নবজোয়ার যাত্রার সময়ে কয়েক দিন গাঢ় নীল আর ধূসর রঙের টি-শার্টে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে বেশির ভাগ তাঁকে সাদা ও কালো পোশাকেই দেখা যায়। দিল্লির কর্মসূচি, রাজভবনের সামনে ধর্না— সবেতেই অভিষেকের পরনে ছিল সাদা শার্ট। তবে গত মঙ্গলবার তাঁর জন্মদিনে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল একটি ‘ফ্লোরাল প্রিন্ট’-এর ফুলস্লিভ শার্টে। যা একপ্রকার বিরল বলেই মনে করছেন অনেকে।
গত ২০ মে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে এবং ১৩ সেপ্টেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে কালো পোশাকে দেখা গিয়েছিল অভিষেককে। নিজাম প্যালেসে জেরার দিন তাঁর পরনে ছিল কালো ফুলস্লিভ শার্ট। আর ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি পরেছিলেন কালো হাফস্লিভ টি-শার্ট। এর আগে কয়লা দুর্নীতি মামলায় অভিষেক শেষ যে বার ইডি দফতরে গিয়েছিলেন, সে দিনও তাঁর পরনে ছিল কালো টি-শার্ট।