অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমা করার বিষয়ে যে আইনি জট ছিল তা কেটে গিয়েছে। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন, ‘‘কথা দিয়ে কথা রাখার নামই হল তৃণমূল।’’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও লিখেছেন, ‘‘গত ২ সেপ্টেম্বর আমি কথা দিয়েছিলাম, ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমায় উন্নীত করা হবে। আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার তা পূরণ করেছে। মাইল মাইল দূর থেকেও আমি আজ সেখানকার মানুষের উদ্বেল হওয়া মুখগুলি দেখতে পাচ্ছি।’’
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে তৃণমূলের বড় প্রতিশ্রুতি ছিল, তারা জিতলে পৃথক মহকুমা হবে। প্রচারে গিয়ে প্রথম সেই কথা জোরের সঙ্গে বলেছিলেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’ অভিষেক। যা ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল। গত সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে বিজেপির জেতা আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। ভোটের পর বিজেপির নেতারাও ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করে নিয়েছিলেন, শেষ পর্বে অভিষেকের মহকুমা করার প্রতিশ্রুতি ধূপগুড়ির ভোট সমীকরণ বদলে দিয়েছিল।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতাও আশ্বাস দিয়েছিলেন পৃথক মহকুমার। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক, তা হয়নি। উপনির্বাচনের আগে ফের সেই দাবি ওঠে। ধূপগুড়িতে ভোট ছিল গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর। ২ সেপ্টেম্বর শেষ পর্বের প্রচারে গিয়ে অভিষেক প্রতিশ্রুতি দেন, তিন মাসের মধ্যেই ধূপগুড়ি মহকুমা হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি কথা দিয়ে গেলাম। তিন মাসের মধ্যে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার দায়িত্ব আমি কাঁধে তুলে নিলাম।’’
উল্লেখ্য, ভোটের ফল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমা করার বিষয়ে সিলমোহর পড়েছিল। কিন্তু তা নানাবিধ আইনি জটে আটকে ছিল। সেই জট কেটে গিয়েছে। অভিষেকের পোস্টকে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেই তৃণমূলের আইটি সেলের তরফে সংগঠিত উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে।