পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর বৈঠকে বসলেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। ফাইল চিত্র
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শিল্পমন্ত্রী (তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী)পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর শনিবার বিকেলে বৈঠকে বসেছেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। ওই বৈঠকে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে ওই বৈঠক চলছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি শুরু হয়েছে বিকেল ৫টা নাগাদ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক শেষ হয়নি। শুক্রবার দিনরাত জেরা করার পর শনিবার সকাল ১০টায় নাকতলার তাঁর বাসভবন থেকে পার্থকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার মধ্যেই ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ২০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার করে ইডি।
সেই টাকা উদ্ধারের পর শুক্রবার রাতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই তদন্তে যাঁদের নাম আসছে, এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীদের। কেন দলের নাম জড়িয়ে প্রচার চলছে, দল নজর রাখছে। যথাসময়ে বক্তব্য জানাবে।’
শনিবার পার্থের গ্রেফতারির পর কলকাতা পুরসভায় এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মেয়র ফিরহাদ জবাব এড়িয়ে গিয়েছিলেন। ফিরহাদ বলেছিলেন, ‘‘এ বিষয়ে যা বলার, দল যথা সময়ে বলবে।’’ সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভায় নিজের কাজের মধ্যেই দলের তরফে জরুরি বৈঠকে হাজির হওয়ার বার্তা পৌঁছায় কলকাতার মেয়রের কাছে। তাঁকে দ্রুত তলব করা হয় ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের দফতরে। আসেন কুণাল, অরূপও।বিকেল ৫টা নাগাদ শুরু হয় বৈঠক।বৈঠক এখনও চলছে।
তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের আশা, ওই বৈঠকের পর পার্থ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারে দল। তবে এর আগেই দল পার্থের থেকে ‘দূরত্ব’ তৈরি করেছে। এখন দেখার, তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো বা দলের মহাসচিব পদ থেকে সরানোর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয় কি না শাসকদল।