দলে দ্বন্দ্বের ছায়া মুছে সমাবেশের প্রস্তুতি বারাসতে

দুর্ঘটনার পরে সুস্থ হয়ে প্রথম জনসভা। সেই সভায় লোক আনতে জেলার ৩৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে আলাদা করে প্রস্ততি-সভা। পুরসভা, পঞ্চায়েত স্তরে ছোট ছোট বৈঠক।

Advertisement

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭ ০৩:১৬
Share:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

দুর্ঘটনার পরে সুস্থ হয়ে প্রথম জনসভা। সেই সভায় লোক আনতে জেলার ৩৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে আলাদা করে প্রস্ততি-সভা। পুরসভা, পঞ্চায়েত স্তরে ছোট ছোট বৈঠক। বারাসতের কাছারি ময়দানে ৬ এপ্রিল তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার জন্য গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা দল যে ভাবে মাঠে নেমেছে, সাম্প্রতিক কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও কর্মসূচিকে ঘিরেও এমন প্রস্ততি দেখা যায়নি! যেন ছোটখাটো ব্রিগে়ডের প্রস্তুতি চলছে!

Advertisement

বারাসতের পরে জেলায় জেলায় সভা করার কথা অভিষেকের। বারাসতের জন্য ফেব্রুয়ারি থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল। গোটা জেলা চষে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল জেলা যুব সভাপতি পার্থ ভৌমিক। চলছে অহরহ বৈঠক। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতেই শুরু হয়ে যাবে জেলা জুড়ে প্রচারও। দলের একাংশের ব্যাখ্যা, এই জেলার বিধাননগর, ব্যারাকপুর বা বারাসত থেকে বসিরহাট, বনগাঁ— প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই তৃণমূলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব মাথাব্যথার কারণ।। কোথাও মন্ত্রীর সঙ্গে সাংসদের বিবাদ। বিধায়কের সঙ্গে চেয়ারম্যান বিবাদ, জেলা পরিষদের অন্দরে কলহ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সঙ্গে আবার বিবাদ প্রধানের! একই চিত্র ছাত্র, যুব, মহিলা, শ্রমিক সংগঠনেও। অভিষেকের সভাকে ঘিরে দলকে ঐক্যের সুতোয় গাঁথতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। নজর রাখা হচ্ছে, যাতে গোষ্ঠী-দ্বন্দের ছায়া যুব সভাপতির সভায় এসে না পড়ে!

প্রস্তুতি বৈঠকে সৌগত রায়ের মতে প্রবীন সাংসদেরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, দলের পুরোনো নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব দিতে হবে। জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও জানিয়েছেন, সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড বা জায়গা থেকে আলাদা-আলাদা নয়, একটিই মিছিল এসে কাছারি মাঠে জড়ো হবে, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন নেতারা। দলের সঙ্গেই ছাত্র, যুব, শ্রমিক সংগঠন, সবাইকে একটি করেই মিছিল করতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কাছারি ময়দানে একদা সিপিএম এবং গত কয়েক বছরে একমাত্র নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা ছাড়া কেউই মাঠ ভরাতে পারেননি। নারদ-কাণ্ড, সারদা কেলেঙ্কারি এবং বিজেপি-র ‘বাড়বাড়ন্তের’ মধ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের ভিতরের কাজিয়ায় প্রভাব অভিষেকের পুনরার্বিভাবের প্রথম সভা থেকে দূরে রাখতে মরিয়া আয়োজনে নেমেছেন তৃণমূল নেতারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement