মিড ডে মিলে খাওয়ানো পোলাও মাংস মধুসূদন বিদ্যানিকেতন অবনৈতিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ছবি অমিত মোহান্ত।
মিডডে মিলের আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধিতে কতটা সুবিধে হবে, সে প্রশ্নে চর্চা শুরু হয়েছে কোচবিহারের শিক্ষক মহলের একাংশে। বরাদ্দ বৃদ্ধিতে কেউ দু’দিনের বদলে সপ্তাহে তিন দিন পড়ুয়াদের পাতে আমিষ খাবার দেওয়ার কথা ভাবছেন। কেউ আবার দ্রব্যমূল্য, জ্বালানির চড়া দামের জেরে আখেরে খুব বেশি সুবিধে হবে না বলেই মনে করছেন।
কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, ‘‘মিডডে মিল প্রকল্প আরও ভাল ভাবে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। জেলার সব স্কুলের জন্য একই মেনু তালিকা করার প্রক্রিয়া চলছে। ওই তালিকা সকলের জানার জন্য দেওয়ালে লেখার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মিডডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধির আগেই ওই ব্যাপারে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন জেলাশাসক।
শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, মিডডে মিলে মাথাপিছু যা আর্থিক বরাদ্দ ছিল, তাতে পুষ্টিগুণযুক্ত খাবার দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। বরাদ্দ কিছুটা বাড়ায় কিছুটা সুবিধে হলেও পুরোপুরি সুরাহা হবে না। বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-র কোচবিহার জেলা সম্পাদক সুজিত দাস বলেন, “বরাদ্দ বৃদ্ধিতে কিছুটা সুবিধে হলেও চড়া দ্রব্যমূল্যের বাজারে সব সমস্যা মিটবে না। খাবারের গুণগত মান বজায় রাখাও কষ্টকর। মিডডে মিলের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিনামূল্যে দেওয়া দরকার। তা হলে অনেকটা সুবিধে হত।” তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কোচবিহার জেলা সভাপতি মানস ভট্টাচার্যও বলেন, “মিডডে মিলে কেন্দ্রীয় ওই বরাদ্দ আরও বাড়ান দরকার।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বরাদ্দ বৃদ্ধির আগেও মিডডে মিলের পাতে পড়ুয়াদের পুষ্টির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খাবারের গুণগত মান বজায় রাখার বিষয়েও বরাবর নজর রাখা হয়েছে। খাবারে বরাদ্দ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিজেপির টিচার্স সেলের রাজ্য কমিটির সদস্য বিনয় সরকার বলেছেন, “আগের তুলনায় বরাদ্দ খানিকটা বৃদ্ধি পাওয়ায়, সুবিধে হবে ঠিকই। চালের গুণগত মানের দিকে নজর রাখা খুব জরুরি। তা ছাড়া, কেন্দ্রীয় বরাদ্দ যাতে অপচয় না হয়, তা-ও দেখতে হবে।” বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কোচবিহার জেলা সম্পাদক পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য বলেন, “কম পড়ুয়া রয়েছে যে সব স্কুলে, সেখানে সমস্যা মিটবে না। গ্যাস সিলিন্ডার বিনামূল্যে পাওয়া গেলে অনেকটা লাভ হত।”