অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
শহিদ দিবসের কর্মসূচি সেরে দিল্লি গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের মহাদেব রোডের বাসভবনে রাজ্যসভা এবং লোকসভার সমস্ত দলীয় সাংসদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত থাকবেন তিনি। সুখেন্দুশেখর বলেছেন, ‘‘আমার বাড়িতে প্রধান অতিথি হিসেবে অভিষেককে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যশবন্ত সিংহ ও মুকুল রায়কে।’’ বৃহস্পতিবার মুকুল রায়ও দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লির রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই বৈঠকে রাজ্যসভার ভোটের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আগামী ৯ অগস্ট একটি আসনে ভোট হবে। মনোনয়নপর্ব শুরু হচ্ছে, ২৬ জুলাই। উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি দীনেশ ত্রিবেদী ওই আসনটি থেকে পদত্যাগ করায় ভোট হচ্ছে ওই আসনে। বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার পর নিজের স্বল্প বক্তৃতায় ভার্চুয়াল সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অভিষেক। তার পরেই বিকেলের বিমানে দিল্লি রওনা হয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তবে মুকুলের ঘনিষ্ঠ শিবির সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার তিনি খানিক দেরিতে দিল্লি পৌঁছবেন।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার উপ-দলনেতার বাড়ির মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি, তৃণমূল সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অভিষেক। সেখানেই অধিবেশনের আগামী দিনগুলিতে দলের রণনীতি কী হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন অভিষেক। বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। তাই মনে করা হচ্ছে, সংসদের অধিবেশনে অভিষেকের যোগদান হলে, তৃণমূলের আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বা়ড়তে পারে।
আর ২৬ জুলাই দুপুরের বিমানে দিল্লি রওনা হবেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩০ তারিখ পর্যন্ত দিল্লিতেই থাকবেন তিনি। এক দিন যাবেন সংসদের সেন্ট্রাল হলে। আর বাকি দিনগুলিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন মমতা। যেহেতু তৃতীয় বার নবান্ন দখলের পর এই প্রথম রাজধানী পাড়ি দিচ্ছেন তিনি, তাই জাতীয় রাজনীতিতেও মমতার এই সফর চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে ভাবে মমতার ভাষণ শুনতে কনস্টিটিউশনাল ক্লাবে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার ও নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা পি চিদম্বরম ও দ্বিগবিজয় সিংহ, সপা নেতা রামগোপাল যাদব ও জয়া বচ্চনের মতো জাতীয় রাজনীতিকরা হাজির হয়েছিলেন, তাতে একাধিক বিরোধী দলের সঙ্গেও কথা হতে পারে তাঁর। সূত্রের খবর, সেই সূচি তৈরি করতেই মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের পাঁচ দিন আগেই রাজধানী পাড়ি দিয়েছেন অভিষেক।