Abhishek Banerjee

নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গসাম্য নিয়ে নরওয়ে সরকারের কর্মসূচিতে ডাক পেলেন সাংসদ অভিষেক

অসলোর ওই কর্মসূচিতে বেশ কয়েক জন ভারতীয় সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন অভিষেক। গত ২৯ অক্টোবর এই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় তাঁকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:১৭
Share:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গসাম্যের জন্য সক্রিয় রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাদের সেই উদ্যোগের পাশে দাঁড়াতে অসলোয় একটি কর্মসূচির আয়োজন করেছে নরওয়ে। সেই কর্মসূচিতেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগামী ১৭ থেকে ২২ নভেম্বর অসলোয় হবে ওই কর্মসূচি। যদিও ওই কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেবেন কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক।

Advertisement

অসলোর ওই কর্মসূচিতে বেশ কয়েক জন ভারতীয় সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন অভিষেক। গত ২৯ অক্টোবর এই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় তাঁকে। ওই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন নরওয়ে পার্লামেন্টের সদস্য, প্রশাসনের আধিকারিক, শিক্ষাবিদ, শিল্পপতিরা। সেখানে তাঁদের সঙ্গে নারীর ক্ষমতায়ন, অবস্থান, লিঙ্গসাম্য নিয়ে তথ্যের আদানপ্রদান করবেন এ দেশের সাংসদেরা। ওই কর্মসূচির মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক আদানপ্রদানের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ দেশে নরওয়ের বিনিয়োগও বৃদ্ধি পেতে পারে।

অতীতে বার বার মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিষেক। আরজি কর-কাণ্ডের আবহে তিনিই প্রথম দোষীর চরম শাস্তির দাবি তুলেছিলেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে অভিষেক প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তখনও সিবিআই গ্রেফতার করেনি। ১৪ অগস্ট রাতে মহিলাদের রাত দখল কর্মসূচিকেও ‘সম্মান’ জানান তিনি। অভিষেক বলেন, ‘‘আমি মহিলাদের রাত দখলকে সম্মান জানাই। দাবি ছিল দু’টি। এক, ধর্ষণমুক্ত সমাজ এবং দুই, দোষীদের শাস্তি।’’ এর পরেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের প্রসঙ্গের অবতারণা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশের হাতে চার দিন তদন্তভার ছিল। আজকে ১৪ দিন হয়ে গেল সিবিআই তদন্ত করছে। কেন এই ১৪ দিনেও সন্দীপ ঘোষ অ্যারেস্ট (গ্রেফতার) হলেন না, তার জবাব সিবিআইকেই দিতে হবে।’’ অভিষেকই তৃণমূলের প্রথম নেতা, যিনি সর্বসমক্ষে মেয়েদের রাতদখলের কর্মসূচিকে ‘সম্মান’ জানান। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বার বার অভিষেকের মুখে শোনা গিয়েছিল ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর প্রসঙ্গ। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলে রাজ্যের মহিলারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না। সেই অভিষেক এ বার আমন্ত্রণ পেলেন মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গসাম্য নিয়ে নরওয়ে দূতাবাসের আয়োজিত কর্মসূচিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement