ফাইল চিত্র।
দুর্ঘটনার পর সুস্থ হয়ে উঠে তাঁর নিবার্চনী কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে প্রথম যে সভা করেছিলেন তিনি তাতে ভালই জমায়েত হয়েছিল। দু’দিন আগে বারাসতে তাঁর সভাকে ঘিরে ভিড়, ওই জেলা শহরে তৃণমূলের সাম্প্রতিক কালের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। কিন্তু আপাতত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেখানেই থামতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ১২ এপ্রিল বাঁকুড়ায় অভিষেকের সভা হওয়ার কথা ছিল। তা নিয়ে জেলা নেতারা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন এক মাস আগে থেকে। সূত্রের খবর, গতকাল অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে মমতা দিল্লি যাওয়ার পরই তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন এখন বাঁকুড়ায় যাওয়ার আর দরকার নেই। বাঁকুড়া তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ-কেও সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি এখন ভাল নয়। অভিষেক পরে কখনও যাবেন।
প্রশ্ন হল, পরিস্থিতি ভাল নয় বলতে কী বোঝাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা? দলের এক প্রবীণ নেতা জানান, আসলে অভিষেকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে মমতা খুব উদ্বিগ্ন। পথ দুর্ঘটনায় ওঁর বাঁ চোখে চোট লেগেছিল। এর পর চিকিৎসকরা চোখে রোদ লাগাতে আপাতত নিষেধ করেছেন। মমতার উদ্বেগ তা নিয়েই। এমনকী ডায়মন্ডহারবারে সভার পর মমতা দলের নেতাদের ফোন করে খোঁজও নিয়েছিলেন, অভিষেক চোখে রোদ লাগায়নি তো!
সম্প্রতি দলের কোর গ্রুপের বৈঠকে মমতা অভিষেককে বলেছিলেন, ‘‘তুমি বড় সভা না করে ব্লক স্তরে ছোট ছোট সভা করো।’’ তা ছাড়া গত মঙ্গল ও বুধবার বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠক ও জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি থেকে ফেরার পর দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বড় মাপের প্রশাসনিক সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।