Abhishek Banerjee

Abhishek Banerjee: তাজপুরে নাম না করে দুর্নীতি প্রসঙ্গে অভিষেক নিশানা করলেন রাজীব-শুভেন্দুকে

অভিষেক বলেন, ‘‘কষ্ট বুঝবেন এই আশায় জেলার একজনকে সেচমন্ত্রী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন তিনি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তাজপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২১ ১৫:২৫
Share:

নিজস্ব চিত্র

বাঁধগুলো ভেঙে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ধাক্কায় রাস্তাও প্রায় নেই বললেই চলে। তাজপুরের সেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে দাঁড়িয়েই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের ফের হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে তিনি বললেন, ‘‘মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে যাঁরা নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছে, তাঁদের এক জনকেও রেয়াত করা হবে না। তদন্ত হবে। আমার তো মনে হয়, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে। একটা পরিবারকে বাঁচাতে গোটা জেলার সর্বনাশ করা হল। আমি কথা দিচ্ছি, কেউ রেহাই পাবে না। চুরি ধরা পড়বেই।’’

Advertisement

ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক। এর পর বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরেও যান তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। দুপুর ১টা নাগাদ অভিষেক হেলিকপ্টারে নামেন দিঘায়। সেখান থেকে তাজপুরে যান। কথা বলতে শুরু করেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। অভিষেককে দেখে ভিড় করে এগিয়ে আসনে সৈকত এলাকার বাসিন্দারা। ঝড়ের দাপটে তাঁদের বেশিরভাগেরই ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। অভিষেক তাঁদের প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করছেন তো? খাবার পাওয়া যাচ্ছে?’’ স্থানীয়রা দাবি তোলেন, খাবার নয়, আগে বাঁধ ঠিক করতে হবে। অভিষেক বলেন, ‘‘হবে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। যাঁরা কাজ করেছিল, তাঁদের দুর্নীতি ধরা হবে। পাশাপাশি নতুন করে কাজ শুরু হবে।’’ এর পর স্থানীয়দের দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচির কথাও মনে করিয়ে দেন অভিষেক।

সৈকত বরাবর শঙ্করপুর-তাজপুর রাস্তা তৈরি হয়েছিল কয়েক দিন আগেই। ঝড়ের পর কার্যত সেই রাস্তা আবার আগের বালি-কাঁকরের কাঁচা পথে পরিণত হয়েছে। প্রাথমিক কথা সেরে সে পথে যেতে যেতেই দু’-এক জায়গায় দাঁড়ান অভিষেক। ডেকে নেন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিককে। তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, ‘‘এই বাঁধের দায়িত্বে কোন দফতর? রাস্তাই বা কাদের আওতায়?’’ প্রশাসনিক অধিকারিক উত্তর দেন, ‘‘বাঁধ সেচ দফতরের। আর রাস্তা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের।’’ মাথা নেড়ে তিনি এগিয়ে যান বিরক্ত অভিষেক।

Advertisement

পরে অভিষেক বলেন, ‘‘যাঁরা এই অংশের উন্নয়নের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা মানুষের জীবনের সঙ্গে ছেলেখেলা করেছেন। এর থেকে লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না। জেলার এক জনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেচমন্ত্রী করেছিলেন। যাতে জেলার মানুষের কষ্ট তিনি বুঝতে পারেন। কিন্তু তিনি নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন তিনি। নিজের মেরুদণ্ড বিক্রি করে তিনি অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। মানুষের অর্থ সরিয়ে নিজের সম্পদ বাড়িয়েছেন। আমি বাক্‌রুদ্ধ।’’

এই প্রথম নয়, বুধবারও অভিষেক নাম না করে শুভেন্দুকে বাঁধ দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণ করেছেন। তা নিয়ে কটাক্ষও করেছিলেন শুভেন্দুও। ‘নাবালকের’ প্রশ্নের উত্তর দিতে চান না বলে এড়িয়েছিলেন অভিষেক-প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে অভিষেক বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমি না হয় নাবালক। কিন্তু ওঁকে বলুন ওর সাবালকত্বের প্রমাণ দিতে। সাবালক তো এসে দেখতে পারলেন না, সেই নাবালককেই আসতে হল। আমাকে আবারও ডাকলে আসব। ১০ দিন পরেই নাবালক ফের আসবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement