Cow Smuggling Case

সাতসকালে আসানসোলের আদালতে ‘অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ’ আব্দুল লতিফ, দলবল নিয়ে হাজিরা

শীর্ষ আদালতের রক্ষাকবচের পর গত বৃহস্পতিবার সিবিআই আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন লতিফ। তার পর তাঁর মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল ৬ মে, শনিবার। তা হয়নি। সোমবার শুনানি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৩ ০৮:৪৬
Share:

আসানসোলের সিবিআই আদালতে আব্দুল লতিফ। ফাইল চিত্র।

সাতসকালে দলবল নিয়ে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দিলেন গরু পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন তিনি। শুনানি শুরুর অন্তত দু’ঘণ্টা আগে তিনি আদালতে উপস্থিত হয়েছেন।

Advertisement

শীর্ষ আদালতের রক্ষাকবচের পর গত বৃহস্পতিবার সিবিআই আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন লতিফ। তার পর তাঁর মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল ৬ মে, শনিবার। কিন্তু ওই দিন এক আইনজীবীর মৃত্যুতে শোকপালন করা হচ্ছিল আদালতে। তাই অন্য আইনজীবীরা অনুপস্থিত ছিলেন। আদালতে এসেও লতিফকে তাই শনিবার ফিরে যেতে হয়েছিল। তাঁর জন্য ২৭ এপ্রিলের নির্দেশই ৮ মে পর্যন্ত বহাল রাখা হয়েছিল। সোমবার সকাল সকাল আবার তিনি আদালতে চলে আসেন।

সোমবার সকালে আসানসোল আদালতে হাজিরা দিলেন আব্দুল লতিফ। নিজস্ব চিত্র।

সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ লতিফ সিবিআই আদালতে আসেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর কয়েক জন সঙ্গীও রয়েছেন। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে এই মামলার শুনানি। সকাল ৯টায় বিচারক এজলাসে এলে শুনানি শুরু হয়।

Advertisement

শুনানি শেষে বিচারকের নির্দেশ, চার দিন অন্তর অন্তর লতিফকে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ মে।

গরু পাচারকাণ্ডে লতিফের নাম জড়িয়েছে। তিনি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি তথা গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। গত বছরের ৮ অগস্ট সিবিআই আসানসোলের বিশেষ আদালতে গরু পাচার মামলায় যে সাপ্লিমেন্টারি (তৃতীয়) চার্জশিট জমা দিয়েছিল, সেখানে লতিফের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। তিনি ইলামবাজার ব্লকের বাসিন্দা। সম্প্রতি রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে লতিফের।

চার্জশিট পেশের পর থেকেই লতিফকে গ্রেফতার করতে সক্রিয় হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু তাঁকে ধরা যায়নি। দিল্লিতে তাঁকে ডেকেও পাঠানো হয়েছিল। অসুস্থতার কথা বলে তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন। এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি লতিফকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ আপাতত করা যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরেই আসানসোল আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন লতিফ। তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement