কর্মসংস্থানের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই রাজ্য পা রাখতে চাইছে আপ। ফাইল চিত্র
‘কর্মতীর্থ’ প্রকল্পের নামে রাজ্য সরকার ভাঁওতা দিচ্ছে! এই অভিযোগ তুলে রাজ্য রাজনীতিতে পা রাখতে চাইছে দিল্লি ও পঞ্জাবের শাসকদল আম আদমি পার্টি (আপ)। সোমবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে দলের পক্ষে দাবি করা হয়, প্রাথমিক ভাবে কর্মসংস্থান নিয়েই আন্দোলনে নামবে অরবিন্দ কেজরীবালের দল। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আপ নেতা সঞ্জয় বসু বলেন, ‘‘বাংলা কর্মসংস্থানে পিছিয়ে রয়েছে। সরকারি অর্থে অনেক ভবন তৈরি হলেও সেখান থেকে রাজ্যের কোনও প্রাপ্তি নেই। কর্মতীর্থ নামের ভবনগুলির বেশির ভাগই ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। জেলায় জেলায় গিয়ে দলের পক্ষে তুলে ধরা হবে এই চিত্র। আগামী চার বছর ধরে এটাই হবে বাংলায় আপের অন্যতম প্রধান কর্মসূচি।’’
পঞ্জাবে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই বাংলাতেও একটু একটু করে সংগঠন বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে আপ। রবিবার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কলকাতায় মিছিল থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়। আর সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে আপ সরব হল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। দলের দাবি, গত এক বছর ধরে রাজ্যের কোথায় কোথায় কর্মতীর্থ প্রকল্পে কী কাজ হয়েছে তার সমীক্ষা চালান আপ কর্মীরা। তথ্য জানার অধিকার আইনে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে জেলায় জেলায় কর্মতীর্থ ভবনগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। তার ভিত্তিতে একটি রিপোর্টও তৈরি করেছে আপ। সেখানে দাবি করা হয়েছে, সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা খরচ করা হলেও ভবনগুলি বেহাল দশায় রয়েছে। অনেকগুলিই এখন সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল রাখার গুদাম ঘর। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, কোথাও কোথাও কয়েকটি দোকান থাকলেও সেগুলির সঙ্গে এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যের কোনও যোগাযোগ নেই। দাবি, কর্মতীর্থে স্থানীয় শিল্পীদের সুযোগ দেওয়ার পরিবর্তে বিউটি পার্লার, হোটেল ইত্যাদি হয়েছে। সঞ্জয় বলেন, ‘‘দিল্লিতে আমাদের সরকার দেখিয়ে দিয়েছে কী ভাবে পরিকল্পনা মাফিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়। আমরা সেই ‘দিল্লি মডেল’ বাংলাতেও দেখাতে চাই। শুধু বাংলাই নয় আগামী দিনে গোটা দেশই দিল্লি সরকারকে মডেল হিসেবে দেখবে।’’
রাজ্যে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপ অংশ নেবে বলে সোমবার দাবি করেন সঞ্জয়। তিনি বলেন, ‘‘যেখানে যেখানে আমরা সংগঠন তৈরি করতে পারব সেখানেই ভোটে অংশ নেব। রাজ্যে অনেক সমস্যাই রয়েছে তবে প্রাথমিক ভাবে আমাদের নজরে থাকবে কর্মসংস্থানের অভাব।’’