ফাইল চিত্র।
লকডাউন শুরুর দিনেই চুঁচুড়া-হুগলি পুরসভায় মজদুর পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তিন মাস পেরোতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল সেই নারায়ণ অধিকারীকে। বরখাস্তের চিঠিতে লেখা হয়েছিল, ‘পুরমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে’।চাকরি ফিরে পাওয়ার আবেদন করেও সাড়া মেলেনি। প্রায় ৬ মাস পরে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ফের চাকরি ফিরে পেতে চলেছেন নারায়ণবাবু। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
আদালত সূত্রের খবর, নারায়ণের মতো সে বার আরও অনেককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। মামলাটি করেছিলেন নারায়ণবাবু এবং আরও এক জন। আদালত জানিয়েছে, শুধু তাঁদের ক্ষেত্রেই এই রায় প্রযোজ্য হবে। নারায়ণবাবুর আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, এর আগে তাঁরা বিচারপতি আশিসকুমার চক্রবর্তীর এজলাসে আর্জি জানিয়েছিলেন। নারায়ণবাবুদের অবিলম্বে চাকরিতে নিযুক্ত করে বেতন দিতে অন্তর্বতীকালীন নির্দেশ দেন বিচারপতি চক্রবর্তী। পুরসভা ও রাজ্য যৌথভাবে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা করে। এ দিন সেই দুটি মামলা খারিজ করে আগের রায় বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার তরফে জানানো হয়েছিল, অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ মেনে নারায়ণবাবুকে নিযুক্ত করা হলেও বেতন দিতে পারবে না পুরসভা। কারণ, রাজ্য সেই টাকা দিচ্ছে না। প্রশাসনের খবর, নিয়ম মেনেই ৭৬ জনকে মজদুর পদে নিয়োগ করেছে বলে দাবি করেছিল পুরসভা। কিন্তু ২০২০-র ৩ জুলাই রাজ্য পুর দফতর একটি চিঠি দিয়ে পুরসভাকে জানায়, নিয়োগে অস্বচ্ছ্বতা মিলেছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। তাই অবিলম্বে পুরমন্ত্রী নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। সেটাই পালন করেছিলেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান।