প্রতীকী ছবি।
হাত-মুখ বেঁধে আদিবাসী এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। হাড়োয়া থানার ১ নম্বর গোপালপুর পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ মহিলাকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এই ঘটনায় মহিলা চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সকলেই তৃণমূল আশ্রিত হিসেবেই পরিচিত। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, বিজেপি মহিলাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমপানের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অভিযোগ এবং মেছোভেড়ির দখলকে কেন্দ্র করে কিছু দিন ধরেই গোলমাল হচ্ছে তৃণমূল-বিজেপির। মারধর, বোমাবাজি, বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যায় ফের দু’পক্ষের গোলমাল বাধে। শুরু হয় বোমাবাজি। অভিযোগ, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়। বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশকে মহিলা জানান, গোলমালের পরে অনেক রাত পর্যন্ত স্বামী বাড়িতে না ফেরায় তিনি খুঁজতে বেরিয়েছিলেন। রাস্তা থেকে তাঁকে অপহরণ করে একটি মেছোভেড়ির আলাঘরে নিয়ে গিয়ে মারধর ও ধর্ষণ করে কয়েক জন। সকালে হাত-মুখ বাঁধা, অর্ধনগ্ন অবস্থায় ওই মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন।
এই ঘটনার পরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপি ওই মহিলাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি রাজনীতির খেলায় নেমেছে। আমাদের কয়েক জনকে মারধর এবং বাড়ি-বাইক ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ ওদের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। পাল্টা ওই মহিলাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করিয়েছে বিজেপি।’’ ষড়যন্ত্র, মিথ্যা অভিযোগ করে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিজেপির পাঁচ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রাজেন্দ্র সাহা। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ ও শাসক দল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’
এ দিন মহিলাকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে এলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।