রাজু ঝা। ফাইল চিত্র।
কী ভাবে হামলা হয়েছিল রাজু ঝায়ের গাড়িতে, সামনে এল একটি ভিডিয়ো (সেটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)। একটি মহলের দাবি, এটি ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ। যদিও পুলিশ এ নিয়ে কিছু বলতে চায়নি। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এই ছবি যদি সত্যি হয়, তা হলে ঘটনাস্থলে রাজু খুন হওয়ার একটু আগেও আব্দুল লতিফ ও ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে। ঘটনার সময়ে দেখা গিয়েছে ঝালমুড়িওয়ালাকে।
প্রশ্ন উঠেছে, এর পরে পুলিশ কি এদের কাউকে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকবে?
ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে সাদা গাড়ির কাছে এক জন ঝালমুড়ি বিক্রেতা দাঁড়িয়েছিলেন। গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে নীল, কালো ও সাদা জামা পরা তিন জন। এমন সময়ে উল্টো দিকের লেন থেকে ঘুরে এসে সাদা গাড়ি থেকে একটু এগিয়ে দাঁড়ায় নীল গাড়িটি। সেটি থেকে নেমে এসে সাদা গাড়ির সামনের আসনে বসা ব্যক্তির দিকে গুলি চালায় হলুদ ও কালো জামা পরা দু’জন। এক জনের হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পড়ে যেতে দেখা যায়। সেটি কুড়িয়ে ফের গাড়ির জানলা দিয়ে ঝুঁকে গুলি চালায় সে। তার পরে হেঁটে নীল গাড়ির দিকে চলে যায়।
এই ভিডিয়োটিই রাজু খুনের সিসিটিভি ফুটেজ কি না, গাড়ির সামনে যাঁদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে কেউ গরু পাচারে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ কি না— পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তরফে সোমবার এ সব প্রশ্নের জবাব মেলেনি। তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনার পরে শক্তিগড় থানার কাছে নীল গাড়িটি ফেলে রেখে অন্য একটি সাদা গাড়িতে আততায়ীরা চম্পট দেয়। সেটির পালানোর রুটের অনেকটার খোঁজ মিলেছে। মোবাইলের সূত্র ধরে খোঁজ চলছে।